
রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু প্রবন। অত্যন্ত বিপজ্জনক। ২০২৪সালের অভিজ্ঞতার নিরিখে এই তথ্য প্রকাশ করেছে পুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
সোমবার শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপতালের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিভাগীয় মেয়র পরিষদ তথা কলকাতা পুরসভার উপ-মহানাগরিক অতীন ঘোষ এবং পুর চিকিৎসকরা। যেসব ওয়ার্ড পিছু ১০ জন বা তার বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছি, সেগুলি বিপজ্জনক ওয়ার্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা উত্তর থেকে দক্ষিণ এই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে রয়েছে ২,৪,৬,১৪,২৬,২৭,৩১ থেকে ৩৩,৩৬,৪৮,৫৫,৫৭, থেকে ৫৯,৬১,৬২,৬৫ থেকে ৬৯,৭৭ থেকে ৭৯,৮১,৮২,৮৫,৮৬,৮৮, থেকে ১০৩,১০৫ থেকে ১১০,১১২ থেকে ১১৫,১১৭,১১৮,১২১,১২২,১২৪,১২৬,১২৭, থেকে ১২৯,১৩১ ও ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ড গুলিতে এখন থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসুচি নেওয়া হবে। ২৬মার্চ বোরো ভিত্তিক মিটিংয়ে চলতি বছরের রূপরেখা ঠিক হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের কথায়, জুন মাসের মধ্যে এই ৬৮ টি ওয়ার্ডের ফাঁকা জমি, এবং পুকুর অথবা জলাজমিতে প্লাস্টিক, থর্মোকোল সহ সব জঞ্জাল সাফ করা হবে। শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ১০ হাজার ৩৩৬ টি সান প্যাক বোর্ড লাগানোর কাজ চলছে।
প্রসঙ্গত, এদিন উপ মহানাগরিক জানান, ২০২৩ সালে শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৯২৬টি। সেই সংখ্যা ২৪ সালে ৯০.০৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩১৬ হয়। কিন্তু, চলতি বছরে ২৩ সালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখন থেকেই শহর জুড়ে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়বে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড একটা সময়ে মশার আতুর ঘর ছিল। কিন্তু গত দু বছরে লাগাতার অভিযান চালানোর ফলে এবার তালিকার বাইরে রয়েছে ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোর দেওয়া হয়েছে নোটিশ জারি করার উপর। জানুয়ারি থেকেই ৩২ টি রেপিড অ্যাকশন মোবাইল টিম কাজ করছে বলে জানান অতীন ঘোষ। পাশাপাশি তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৪৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিন যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা ও পৌর কর্মী ও আধিকারিক দের পুরস্কৃত করে সংবর্ধনা দেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ।
Be the first to comment