ইস্যু সমর্থন করলেও বামেদের ডাকা বনধের মোকাবিলায় কড়া মনোভাবই দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সমস্ত সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন৷ বলা হয়েছে, কাজে যোগ না দিলে কাটা যাবে বেতন।
আগামী বুধবার ১২ ঘণ্টার জন্য ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ১৪টি বাম ট্রেড ইউনিয়ন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, কেন্দ্রের বেপরোয়া বেসরকারিকরণ, বিলগ্নিকরণ-সহ একগুচ্ছ ইস্যুর বিরোধিতায় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনও এই বনধকে সমর্থন করেছে৷ কিন্তু এরাজ্যে বনধের কোনও প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
গঙ্গাসাগর সফরে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা এনআরসি, সিএএ-এর বিরোধী। কিন্তু তার জন্য বনধ কেন করব? চারিদিকে অর্থনৈতিক ক্ষতি চলছে। বনধ করলে দেশেরই ক্ষতি হবে। আমি চাইনা সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হোক। তাই আমরা বনধ সমর্থন করি না।
উল্লেখ্য, বামেরা যে ইস্যুগুলির বিরোধিতায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্যের তৃণমূল সরকার সেই সব ইস্যুর বিপক্ষেই সুর চড়িয়েছে এতদিন। তাই ওয়াকিবহাল মহলে কানাঘুষো জল্পনা শুরু হয়েছিল হয়তো বামেদের ধর্মঘটকে সমর্থন করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই জল্পনাকে নস্যাৎ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মঘটের মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। ৮ জানুয়ারি বামেদের ডাকা বনধ বানচাল করতে যে আগের মতো কড়া পদক্ষেপ যে নেওয়া হলে সেকথাই গঙ্গাসাগর সফর থেকে সেটা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment