প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে চলা নিষেধাজ্ঞার অবসান ঘটিয়ে ফের সৌদি আবরে খুলতে চলেছে প্রেক্ষাগৃহ।
সাম্প্রতিককালে, অতি-রক্ষণশীল সৌদিতে একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেখানকার ক্ষমতাশালী যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সরকার জানিয়েছে, খুব দ্রুত সিনেমা হলের লাইসেন্স দেওয়া হবে। তাদের আশা, আগামী বছর মার্চ মাস নাগাদই প্রেক্ষাগৃহ চালু হয়ে যাবে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিমত রয়েছে বলে জানা যায়। একপক্ষ মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে, সেখানকার প্রায় বন্ধ হয়ে পড়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পুনরুজ্জীবন পাবে। তাদের মতে, তেল-পরবর্তী অধ্যায়ে সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে সরকার বিনোদনকে গুরুত্ব দেওয়ায় দেশে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে চলেছে।
তবে, রক্ষণশীলরা এই সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী। তারা আবার প্রেক্ষাগৃহকে কুরুচিকর ও কলুষিত বলে মনে করে। কট্টরপন্থীদের মতে, সিনেমা হল সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচিতির পক্ষে বিপজ্জনক। গত জানুয়ারি মাসেই, দেশের সর্বোচ্চ মৌলবী বলেছিলেন, সিনেমার বিকৃত রুচির জন্য নীতিভ্রম হবে মানুষের।
সৌদি আরবের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৩৫ বছর পর ফের সেখানে খুলবে প্রেক্ষাগৃহ। তথ্যমন্ত্রী আওয়াদ আলোয়াদ জানান, রাজত্বে সাংস্কৃতিক অর্থনীতির উন্নয়নে এটি একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি যোগ করেন, অন্যান্য প্রকাশ্য স্থানের মত সিনেমা হলেও পুরুষ, মহিলা ও পরিবারের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে।
Be the first to comment