মঙ্গলবারও পূর্বাভাস নেমে আরও এক দফা নামল শহরের পারদ। আরও ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমেছে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এদিকে বাতাসে জ্বলীয় বাস্পের পরিমাণ মঙ্গলবার সকালে ৫২ শতাংশ। সোমবার দিনের বেলা বাতাসে বাস্পের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে নামছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার পারদও।
রবিবার থেকেই নামতে শুরু করে পারদ। দিনভর কুয়াশাছন্ন ছিল দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। তাপমাত্রা ১৬ থেকে এক ধাক্কায় ১৪ তে নেমে এসেছিল। সপ্তাহের শুরুতেই তা আরও দুই ডিগ্রি নেমে গিয়ে ১২ ডিগ্রিতে ঠেকেছে। এমন যে পারদ পতন হতে পারে সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস।
সোমবার সকালে শহরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটাই নীচে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি কম। সোমবার ছিল ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩-এর আশেপাশে থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মতোই সোমবারেই দু’একটি জেলার তাপমাত্রা, ফের দশের নীচে নেমে গিয়েছে। কৃষ্ণনগরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দশের ঘরে ঘোরাফেরা করেছে পানাগড় , পুরুলিয়া , ব্যরাকপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যা সোমবার ছিল যথাক্রমে ১০.১, ১০.০, ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ আরও কয়েকটি অঞ্চল এবং জেলার তাপমাত্রা দশ কিংবা দশের নীচে নামতে পারে। তবে এই দফায় বেশি দিন টানা জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা কম। নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে বুধবার থেকে তাপমাত্রা আবার কিছুটা বাড়তে পারে। তবে কতটা বাড়বে তা দেখার।
এই শীতের মরসুমে ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে। মাঘ মাসের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে কিন্তু কড়া শীত চলাকালীন এমন বৃষ্টি খুব একটা দেখা যায় না পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণপ্রান্তের জেলাগুলিতে। ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতায়। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৩০ মিলিমিটার। জানুয়ারিতে বৃষ্টি অস্বাভাবিক নয়। জলবায়ুগত তথ্য বলছে, কলকাতায় জানুয়ারিতে গড়ে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু অঙ্কতেই স্পষ্ট অনেক বেশী বৃষ্টি হয়েছে , যা অস্বাভাবিক।
Be the first to comment