নতুন বছরের শুরুতেই এক বিবৃতি প্রকাশ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি করে বিএনপি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও হৃত গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার সংগ্রামে সকলকে নতুনভাবে ব্রতী হতে হবে। আমাদের কর্মে নতুন বছরটি যাতে সাফল্য ও সমৃদ্ধির বছরে পরিণত হয় সেই লক্ষ্যে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে।
এবার সাজা স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য সরকারের আছে আর্জি জানাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। আইনজীবী ফোরামের মতে, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এখন দুটি মিথ্যা মামলায় দণ্ডিত হয়ে জেলবন্দি। তিনি একজন বয়স্ক, অসুস্থ মহিলা। প্রচলিত আইনে তাঁর জামিন প্রাপ্য। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুযায়ী সরকার চাইলে যে কারও সাজা শর্তহীনভাবে স্থগিত রাখতে পারে বলে ওই সংগঠনের আইনজীবীরা মনে করেন। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। এর আগে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া দেশের বাইরে যাবেন বলে তাঁর জামিনের দাবি করা হয়েছিল বিএনপির পক্ষ থেকে।
কয়েক মাস ধরেই বিএনপি নেত্রী অসুস্থ। জেলের ভেতরেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগেই জেলবন্দি হল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বহু আন্দোলনের পরেও মুক্তি দেওয়া হয়নি খালেদা জিয়াকে। আগামী দিনে শেখ হাসিনার সরকার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াকে সত্যিই মুক্তি দেবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Be the first to comment