একগুচ্ছ সরকারি কর্মসূচি নিয়ে কাল শনিবার দু’দিনের কলকাতা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কর্মসূচির ফাঁকেই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্য বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শিবিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।
মূলত, রবিবার কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ মিশনেও তাঁর যাওয়ার কথা। শনিবার রাতে কলকাতায় এসে তিনি রাজভবনেই থাকবেন।
নবান্নের এক আমলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কোনও রাজ্য সফরে এলে সেখানকার সরকারের কিছু প্রোটোকল বা সৌজন্য মানতে হয়। যেমন, বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সরকারের কোনও মন্ত্রী যান। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রাজভবনে থাকলে তাঁর সঙ্গে একবার সৌজন্য সাক্ষাত করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই দেশ ও রাজ্যের প্রশাসনিক দুই শীর্ষ ব্যক্তির সাক্ষাত হলে আলোচনায় একাধিক প্রসঙ্গ ও সমস্যার কথা উঠে আসে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর দস্তুর। সেই সুবাদে কাল রাজভবনে মোদী-মমতা সৌজন্য বৈঠক বা সাক্ষাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রাজভবনে রাত্রিযাপন করলে তাঁর জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করাও বহুদিনের রীতি। অতীতে মনমোহন সিংহ কলকাতা সফরে এলে বা রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতা সফরে এলে তৎকালীন রাজ্যপালরা তাই করতেন। অনেক সময় মুখ্যমন্ত্রীও ওই নৈশভোজে নিমন্ত্রিত থাকতেন। তা ছাড়া প্রণববাবু রাজভবনে থাকলে নবান্ন থেকে ফেরার সময় একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করে যেতেন মমতাও।
তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, মুশকিল হল রাজভবন তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক এখন খুবই তিক্ত। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত রাজভবনে যেতে রাজি হবেন কিনা সেটাও প্রশ্ন। তা ছাড়া সৌজন্য বৈঠকের অন্য ব্যাখ্যা করা হলে তাও রাজনৈতিক ভাবে ভাল হবে না।
Be the first to comment