শনিবার দুপুরের পরেই কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার কলকাতায় আসছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে তুমুল তৎপরতা এরাজ্যেও। এরই মধ্যে রাজ্য সফর নিয়ে টুইট করেছে প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ সফরের জন্য তিনি নিজেও প্রবল উৎসাহিত বলে টুইটে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে শনিবার তাঁর বেলুড়ে রামকৃষ্ণ মিশনে যাওয়া নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার দুপুরের পর কলকাতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে যাবেন কেন্দ্রের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি পেন্টিং মিউজিয়ামের উদ্বোধনে। এই মিউজিয়াম উদ্বোধন হবে ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিংয়ে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাবেন মিলেনিয়াম পার্কে। এরপর হাওড়া ব্রিজে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থার উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপরেই থাকছে শনিবারের শেষ সফর। বেলুড় মঠে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলুড় মঠে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ সময়া কাটাবেন তিনি। কথা বলবেন মঠের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে। ঘুরে দেখবেন স্বামী বিবেকানন্দের স্মৃতি বিজড়িত একাধিক জায়গা।
শনিবার পশ্চিমবঙ্গে আসার আগেই টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লেখেন, ‘আজ এবং আগামিকাল পশ্চিমবঙ্গে থাকতে পেরে উচ্ছ্বসিত। রামকৃষ্ণ মিশনে সময় কাটাতে পারব ভেবে আমি আনন্দিত।’ প্রয়াত বেলুড় মঠের প্রাক্তন প্রধান স্বামী আত্মস্থানন্দকে নিয়েও টুইটে লেখেন প্রধানমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মোদী লেখেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশনে যাব তাও একটা শূন্যতাও থাকবে! যে ব্যক্তি আমাকে ‘জন সেবাই প্রভু সেবা’-এর মহৎ নীতিটি শিখিয়েছিলেন, শ্রদ্ধেয় স্বামী আত্মাস্থানন্দজি সেখানে নেই।’
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফর ত্রুটিমুক্তি রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফরে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখাটা জরুরি। এই ব্যাপারে কোনও রকম গাফিলতি হলে বিজেপি এ রাজ্যের প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বলে আওয়াজ তুলতে পারে। অবশ্য রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পোর্টে ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে দেখা যেতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাছাড়া শনিবার রাতে রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক করার জন্যও আমন্ত্রণ এসেছে। ফলে মোদীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনওরকম প্রশ্ন উঠুক চাইছে না রাজ্য সরকারও।
Be the first to comment