বৈঠকের সম্ভাবনা, মোদীকে একাধিক দাবি ও ক্ষোভ জানাবেন মমতা

Spread the love

দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আজ, শনিবার প্রথম বাংলা সফরে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে চলা সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই কলকাতায় পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতায় এলে প্রধানমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানো হবে বলে হুমকি দিয়ে রেখেছে সিপিএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে মমতা-মোদী সাক্ষাৎ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

নবান্ন সূত্রের খবর, আজ রাত সওয়া ৯টা নাগাদ রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মিলেনিয়াম পার্কের অনুষ্ঠানেও দু’জনের হাজির থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার সকালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ১৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে দু’জনকে একই মঞ্চে দেখতে পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে রাজ্যের তরফে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাতে শুক্রবার দুপুরে নবান্নে যান কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী মনসুখ লাল মান্ডাভিয়া। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার কলকাতায় একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। রাত্রিযাপন করবেন রাজভবনে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৯টা ১২ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সময় দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় ছাড়াও তাঁর কাছে রাজ্যের বিভিন্ন দাবিদাওয়া পেশ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাজপুর বন্দর এবং দেউচা-পাঁচামি কয়লা ব্লকের উদ্বোধন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাজকর্ম নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

তবে মমতা-মোদী সাক্ষাতের বিষয়ে অবশ্য সরকারিভাবে সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কিংবা নবান্নের কর্তারাও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। রাজভবন থেকেও কোনও উত্তর মিলছে না।

দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন মমতা। বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে মমতা নিজেই জানিয়েছিলেন, মূলত রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনির উদ্বোধনের জন্য পুজোর পর প্রধানমন্ত্রীকে বাংলায় আসার অগ্রিম আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা। এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে তিনি জানিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও অবশ্য বিরোধীরা তাঁকে ছেড়ে কথা বলেননি। মোদী-মমতা সাক্ষাৎ নিয়ে সেবার অনেক ব্যঙ্গ শোনা গিয়েছিল বিরোধীদের গলায়। এ বারও তার অন্যথা হচ্ছে না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*