জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ৷ এই অভিযোগ আগেই উঠেছিল ৷ এবার সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহারকারীদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷ ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফ্ট’ ও ‘ফ্রেন্ডস অফ RSS’ নামের ওই গ্রুপ দু’টির মধ্যে যে কোনও একটির সঙ্গে যুক্ত থাকলেই তাদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হবে ৷ এই মর্মে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠিয়েছে হাইকোর্ট ৷
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি JNU চত্বরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছিল মুখ ঢাকা একদল হামলাকারী ৷ পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের উপর ওই হামলায় জখম হয়েছিলেন ৩৪ জন ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার রুমেও হামলা চালায় তারা ৷ ফলে ঘটনার তদন্তে নেমে CCTV ফুটেজ পেতেও সমস্যায় পড়ে পুলিশ আধিকারিকরা ৷ সেই কারণে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে আগেই গুগল, ফেসবুক, অ্যাপেল ও হোয়াটসঅ্যাপকে ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত তথ্য আইনানুগভাবে সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট ৷
হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পেয়ে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছিল, এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতির কারণে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর মোবাইল থেকেই সেই তথ্য পাওয়া সম্ভব ৷ এরপরই আজ ওই দুই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ব্যবহারকারীদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল আদালত ৷
JNU হামলার পরে অমিত পরমেশ্বরম, শুক্লা সাওয়ান্ত ও অতুল সুদ নামের তিন অধ্যাপক ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফ্ট’ ও ‘ফ্রেন্ডস অফ RSS’ নামের দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ‘ইউনিটি এগেইনস্ট লেফ্ট’ গ্রুপের ৬০ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে শনাক্ত করেছে ৷
গতকাল পর্যন্ত পুলিশের নোটিসের কোনও জবাব দেয়নি JNU কর্তৃপক্ষ ৷ মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তদন্তের কাজে সমস্ত রকম তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য JNU-র রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমারকে নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি ব্রিজেশ শেঠী ৷
Be the first to comment