গঙ্গাসাগরে চলছে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান। প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। ইতিমধ্যেই ১৮ লাখ পুণ্যার্থী পুণ্যস্নান করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসেছেন। পুণ্যস্নানে এসেছেন নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষও। সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এবার পুণ্যার্থীর সংখ্যা অন্যবারের রেকর্ড ভেঙেছে।
প্রতিবছর মকর সংক্রান্তিতে হিন্দু পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের জন্য আসেন। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন। এই বছর পুণ্যস্নানের সময় শেষ হচ্ছে ১৬ তারিখ রাত ১২ টা ২৪ মিনিটে। সরকারি ওই আধিকারিক বলেন, শেষ বছর ২০ লাখ মানুষ সাগরদ্বীপে এসেছিলেন। এই বছর সেই রেকর্ড ভেঙে গেছে। পুণ্যার্থীরা সন্তুষ্ট এবং আমাদের ব্যবস্থাপনা তাদের খুশি করেছে।
গঙ্গাসাগরে জারি রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কলকাতা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে সাগরদ্বীপের পরিস্থিতি নজরে রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ররা। ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। রয়েছে হাজারের উপর CCTV ক্যামেরা। প্রথমবার এই মেলায় রাখা হয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। কোনও পুণ্যার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উপযুক্ত স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।
গঙ্গাসাগরের পাশাপাশি পুণ্যস্নান চলছে কলকাতার বাবুঘাট, দই ঘাট, হাওড়ার বাজে কদমতলা ঘাট, বরানগরে রতনবাবুর ঘাট, বাগবাজার ঘাট, সারদামণি ঘাট ও কুমোরটুলি ঘাটেও।
Be the first to comment