পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপিকেও পাশে চাইছে সিপিএম

Spread the love

পুরসভা ভোটে শাসক দলের ভোট লুঠ করতে ‘মেরুকরণের রাজনীতি করা দল’ বিজেপির হাত ধরতেও আপত্তি সিপিএমের৷ আলিমুদ্দিন থেকেই সেকথা খোলাখুলি জানান সিপিএম নেতৃত্ব৷

মতাদর্শগতভাবে দুই মেরুর। একটা ডান, অন্যটা বাম। সেই ডান পথের লোকেদেরকেই পাশে পেতে চাইছে সিপিএম৷ শনিবার জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার বলেন, ”তৃণমূল বা বিজেপি বাধা রোখার জন্য সমস্ত শক্তিকে জড়ো করব। পঞ্চায়েত ভোটে জনগণ রাস্তায় বেরিয়েছিল। কোথাও লাল পতাকা কোথাও আবার তেরঙা নিয়ে বেরিয়েছে। বিজেপির লোকও ছিল।” তিনি স্পষ্ট বলেছেন, বিজেপি কর্মীদের বামেরা স্বাগত জানাচ্ছে।

বাংলায় তৃণমূল বিরোধী ভোটের স্পষ্ট মেরুকরণ হচ্ছে, তা হাতে নাতে দেখা গিয়েছে লোকসভা ভোটে। এক লাফে প্রায় তিরিশ শতাংশ ভোট বাড়িয়ে ফেলেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের পর সিপিএমের তুমুল সমালোচনা করে তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, বামেদের ভোট সব বিজেপিতে চলে গিয়েছে। সাধারণত নিচুতলার প্রবণতাই থাকে, শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের শক্তিশালী প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। রাজনৈতিক মহলের মত, সেকারনেই বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের সাহায্য চাইছে সিপিএম৷ ফলে পুরভোটেও আবার লাল-গেরুয়া মিলে-মিশে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে৷

তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রেখেই পুরভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে সিপিএম। কল্লোল মজুমদার বলেন, ”তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী ভোট এক জায়গায় আনতে চাইছে। কলকাতা পুরসভায় কয়েকটি ওয়ার্ডে মার্ক্সবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্তি রয়েছে। তেমনই কয়েকটি ওয়ার্ডে আবার আরএসপি ও সোশ্যালিস্ট দলের শক্তি যথেষ্ট। কংগ্রেসও শক্তিশালী কয়েকটি শক্তিশালী। বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এগোচ্ছি। আমাদের ৮০টি ওয়ার্ডে লড়াইয়ের ক্ষমতা রয়েছে। যে কটা ওয়ার্ডে কংগ্রেসের শক্তি আছে, সেগুলি ছেড়ে দিতে আমাদের অসুবিধা নেই। ধৈর্য ধরে আলোচনার মাধ্যমেই শেষপর্যন্ত ব্যাপারটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*