কালিম্পঙের জাতীয় সড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ল গাড়ি । গাড়িতে এক পরিবার ও চালক-সহ মোট পাঁচজন ছিলেন । ইতিমধ্যেই এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি । তবে বাকিদের মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকাল ১১টা নাগাদ সিকিম নম্বরের একটি অলটো-৮০০ গাড়ি ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ডুয়ার্সের বীরপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু কালিম্পঙের তিস্তাবাজারের কাছে লিকুভিড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের রেলিং ভেঙে তিস্তা নদীতে পড়ে যায় গাড়িটি৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে যায় পুলিশ। নদীতে নামানো হয় ব়্যাফ্টিং টিম। কালিম্পং জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গাড়িটি সিকিমের তাদঙ থানার বাইপাস এলাকার বাসিন্দা চন্দন রাইয়ের৷ আজ দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন চন্দনবাবু ও তাঁর স্ত্রী তুলসি রাই এবং তাঁদের ছেলে সরগম(১৯) মেয়ে সাক্ষী(১৪) ৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক ৷
তিস্তা পুলিশ চেকপোস্টের OC লাকপা ভুটিয়া বলেন, “এক কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়েছে । বাকিদের খোঁজে তিস্তায় তল্লাশি চলছে ।” কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত আর কারও দেহ উদ্ধার করা যায়নি । খোঁজ মেলেনি গাড়িটিরও । দুর্ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । কেন NDRF টিমকে সময় মতো ডাকা হল না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন ।
Be the first to comment