দিল্লির প্রথম নির্বাচনী জনসভা থেকে CAA ইশুতে আবার বিরোধীদের আক্রমণ অমিত শাহর । বললেন কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো বিরোধী দলগুলি CAA-এর প্রতিবাদ মিছিলে যুবসমাজ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে উসকানি দিচ্ছে । দিল্লিতে অশান্তি করার চেষ্টা করছে । শাহর কটাক্ষ, বছর দুয়েক আগে, JNU ক্যাম্পাসে যারা ভারতবিরোধী স্লোগান তুলেছিল রাহুল গান্ধি ও কেজরিওয়াল তাদের হয়ে কথা বলছেন ।
গতকাল মাটিয়ালার সভা থেকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করল বিজেপি। প্রথমদিনের সভাতেই CAA নিয়ে দিল্লি সরকারের অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেন শাহ । বলেন, “কেজরিওয়াল এবং দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া বলেছেন যে তারা CAA-র বিরুদ্ধে শাহিনবাগে প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে রয়েছেন । এরাই যুবসমাজ, সংখ্যালঘুদেরকে উসকানি দেওয়ার কাজ করে । দিল্লিতে অশান্তি করার চেষ্টা করে । JNU ক্যাম্পাসে যারা ভারতবিরোধী স্লোগান তুলেছিল । রাহুল গান্ধি ও কেজরিওয়াল তাদের হয়ে কথা বলছেন । মোদি তাদের জেলে ঢুকিয়েছিলেন তবে কেজরিওয়াল ও রাহুল কম্পানি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছে যায় । তাদের বাকস্বাধীনতা নিয়ে সরব হয় । রাহুল বাবা ও কম্পানিরা মনে রাখবেন, আমাদের সঙ্গে যতটা খারাপ ব্যবহার করার করুন । চাইলে আমাদের দলকে অবমাননমা করুন । তবে যারা ভারত ভাঙার কথা বলছেন তাদের জেলে ঢোকানো হবে ।
গতকালের সভায় দিল্লি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন অমিত শাহ । অমিত শাহর বক্তব্য, “দেশে যদি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রতিযোগিতা হয় । তাহলে কেজরিওয়াল অবশ্যই প্রথম হবেন । যমুনা পরিষ্কার করার কথা বলেছিলেন তিনি । উলটে দেশের সবচেয়ে নিম্নমানের জল পাচ্ছে রাজধানী । আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেননি । কেজরিওয়াল বলেছিলেন, ১০০০ স্কুল বানাবেন । ২০টি কলেজ বানাবেন । ১৫ লাখ CCTV লাগাবেন বলেছিলেন । ৮ লাখ কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন । কিন্তু কিছুই হয়নি । তিনি বলেছিলেন ফ্রি ওয়াই-ফাই দেবেন । গোটা রাস্তা চেষ্টা করেছি ওয়াই-ফাই কানেক্ট করার । উলটে মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে গেছে ।”
Be the first to comment