করোনা ভাইরাসে চিনে মৃত বেড়ে ৫৪, ভারতে পর্যবেক্ষণে ১০০

Spread the love

বাড়ছে করোনা আতঙ্ক ৷ চিনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত বেড়ে ৫৪ । ভারতে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন ১০০ জন । কেরালা ও মহারাষ্ট্রে চলছে স্ক্রিনিং । নতুন করে ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে ।

এদিকে করোনার সংক্রমণ আটকাতে ইউহান-সহ চিনের মোট পাঁচটি শহরে সমস্ত সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷ ইউহান থেকেই প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয় যে কারণে ইউহান শহরকে পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷ শহরের বাইরে যাওয়ার সমস্ত রেল ও বিমান পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে ৷

চিনা নববর্ষের সময় করোন আতঙ্কে ফিকে হয়ে উঠেছে আনন্দ । চিনের সবথেকে বড় এই অনুষ্ঠানে বহু মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে আসেন । প্রবাসীরাও ঘরে ফেরেন এই সময়ে । ফলে সংক্রামকের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে । পাশাপাশি প্রায় ৭০০ জন ভারতীয় মধ্যে এই নববর্ষের জন্য অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন । তবে, ইউহানে বাকি ২৫০ জন পড়ুয়াকে দেশে ফিরতে দেওয়ার অনুমতি চেয়ে চিন সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ভারত ।

এদিকে, নেপাল থেকে দার্জিলিঙে প্রবেশের রাস্তা পানিট্যাঙ্কি, মিরিক সীমানা এবং পশুপতি মার্কেটে নজরদারি বাড়ানোর জন্য গতকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করে সতর্ক করে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এবং কলকাতায় বেলেঘাটা ID হাসপাতালে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ।

করোনা ভাইরাস ইশুতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, “বেজিংয়ে থাকা ভারতীয় দূতাবাসকে সতর্ক করা হয়েছে । চিন কর্তৃপক্ষর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে দূতাবাস । আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি । যে কোনও সমস্যার জন্য দূতাবাস রয়েছে । জরুরিভিত্তিক নম্বরও দেওয়া হয়েছে । ভারতে বিদেশ থেকে আসা ৬০টি বিমান ও ১২,৮২৮ জন যাত্রীকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে ।”

নিউমোনিয়া’-র বৈশিষ্ট্য যুক্ত এই নোভেল করোনা ভাইরাসের সম্পূর্ণ নয়া সংস্করণ চিনে আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । রাজধানীসহ মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কোচি বিমানবন্দরে বিশেষ থার্মাল স্ক্রিনিং চালু করার কথা চলছে ।

চিনের বাইরে জাপান ও থাইল্যান্ডেও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর এসেছে ৷ এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি অ্যামেরিকা ও ইউরোপেও থাবা বসিয়েছে এই ভাইরাস ৷ এর আগে সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা SARS-এর সংক্রমণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল । এই ভাইরাসটির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের চরিত্রের বিশেষ মিল রয়েছে ৷ তাই রয়েছে আতঙ্ক ৷ সবমিলিয়ে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*