আগামিকাল শুক্রবার থেকে লাগাতার ব্যাংক ধর্মঘট। প্রায় ৪৮ ঘন্টার ব্যাংক ধর্মঘটের পথে কর্মচারীরা। দেশজুড়ে টানা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটে ব্যাংকিং পরিষেবাতে ব্যাপক প্রভাব পড়বে, এমনটাই আশঙ্কা। এমনকি এটিএম পরিষেবাও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকেও। ফলে সমস্যা এড়াতে এটিএম কিংবা ব্যাংক থেকে বাড়তি টাকা তুলে রাখাই ভালো।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগেই বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেয় ব্যাংক ইউনিয়নগুলি। ৪৮ ঘন্টার ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। বেতন বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে এই ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এর মধ্যে আগামিকাল শুক্রবার সংসদে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করা হবে।
পরদিন বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেজন্য খোলা থাকবে শেয়ার বাজারও। অথচ দু’দিনই ধর্মঘটের পথে ব্যাংক কর্মচারীরা। এই পরিস্থিতি আজ বৃহস্পতিবার ব্যাংক কতৃপক্ষের সংগঠন আইবিএ’র সঙ্গে কর্মী-অফিসারদের ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চ ইউএফবিএ’র বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বের হল না। ফলে ব্যাংক ধর্মঘট হচ্ছেই।
টুইট করে All India Bank Employees’ Association-এর সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্গকাটাচালম জানিয়েছেন, আজকে আইবিএ’র সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। ফলে পূর্ব ঘোষিত ৩১ জানুয়ারি এবং ১লা ফেব্রুয়ারি সারা ভারত-জুড়ে ব্যাংক ধর্মঘট হচ্ছেই।
বেতন, পেনশন সহ একাধিক দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। যদিও অর্থ ও শ্রম মন্ত্রকের তরফে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। ন’টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাংক ইউনিয়নের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করে ইন্ডিয়ান ব্যাংকস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। তবে বাজেট চলাকালীন এভাবে ব্যাংক ধর্মঘট দেশের ইতিহাসে একেবারেই নজিরবিহীন। অতীতে এমন ঘটেছে কিনা অনেকেই তা মনে করতে পারছে না।
উল্লেখ্য, আজ বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে ব্যাংক বন্ধ। আগামিকাল শুক্রবার থেকে ব্যাংক ধর্মঘট। মাঝে রবিবার। ফলে সোমবারের আগে কোনও ব্যাংকিং কাজকর্ম করা যাবে না। এটিএমেও টাকা কার্যত শূন্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা।
Be the first to comment