‘জামিয়ার বন্দুকধারী প্রকৃত দেশভক্ত’, তাই বিশেষ সম্মান দেবে হিন্দু মহাসভা

Spread the love

‘ইয়ে লো আজাদি’ বলে জামিয়ার সামনে বিক্ষোভকারীদের দিকে তাক করে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। বৃহস্পতিবার দুপুরের সেই ঘটনা রীতিমত চমকে দেয় গোটা দেশকে। পরে ওই ব্যক্তির নাম জানা যায়, গোপাল। ফেসবুকে তার পরিচয় ‘রামভক্ত গোপাল।’ গুলিতে আহতও হয়েছেন এক ছাত্র।

এই ঘটনার পর ওই ছাত্রকে সম্মান দেওয়ার কথা বলল ‘হিন্দু মহাসভা।’ শুক্রবার হিন্দু মহাসভার তরফ থেকে একথা জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তিকে ‘প্রকৃত দেশভক্ত’ বলে উল্লেখ করেছে হিন্দু মহাসভা।

হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র অশোক পান্ডে বলেন, ‘ওই যুবককে নিয়ে আমরা গর্বিত। ওই যুবক দেশ বিরোধী কাজ বন্ধ করার জন্য এই কাজ করেছে।’ অশোক পান্ডের দাবি, জামিয়ায় যে প্রতিবাদ হচ্ছে, তা দেশ বিরোধী। আর সেই দেশ বিরোধী কাজ থামাতে যদি অস্ত্র তুলে নিতে হয়, তাহলে তাতে কোনও দোষ দেখছে না হিন্দু মহাসভা। সংগঠনের কর্মীদের সঙ্গে তিনি নিজে গিয়ে গোপালকে সম্মান প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন অশোক পান্ডে।

গুলি চালানোর সময় ওই বক্তির পরণে ছিল কালো জ্যাকেট, সাদা ট্রাউজার। চারপাশে ছিল পুলিশ। তার মধ্যেই গুলি চালায় ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জামিয়ার ছাত্র আমনা আসিফ ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যারিকেডের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। আচমকা বন্দুক হাতে চলে আসে ওই ব্যক্তি। তাকে কেউই চেনে না। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনা দেখছিল, তাও আটকায়নি ওই ব্যক্তিকে। ছাত্ররা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি।

গোটা ঘটনায় দিল্লি পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, মিছিল ঘিরে যাতে কোনওরকম অশান্তি না বাধে তার জন্য আগে থাকতেই জামিয়ার বাইরে পুলিশ মোতায়েন ছিল।

বিক্ষোভকারীদের আটকাতে হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সামনে ব্যারিকেডও বসানো হয়। তাতে দমে না গিয়ে রাস্তার উপরই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তখনই পুলিশি নিরাপত্তা টপকে পিস্তল হাতে মিছিলের একেবারে সামনে চলে আসে অভিযুক্ত। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*