রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন মুকুল রায়, জুটতে পারে মন্ত্রিত্বও

Spread the love

শিকে ছিঁড়তে পারে মুকুল রায়ের। আবারও রাজ্যসভার সাংসদ হতে পারেন । এমনকী তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও নেওয়া হতে পারে। রাজ্যে আসন্ন পুরভোটের আগে এমন জল্পনায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত মুকুল-শিবির। ২০২১ সালেই এরাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এনে বঙ্গ বিজেপিকে আরও চাঙ্গা করতে তৎপর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

তৃণমূল ছেড়ে কয়েক বছর আগেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়। বাবার পথ অনুসরণ করে মুকু-পুত্র শুভ্রাংশুও নাম লিখিয়েছেন পদ্ম-শিবিরে। বিজেপিতে এখনও বড় কোনও পদ পাননি মুকুল। বরং মণিরুল ইসলামের মতো নেতাকে দলে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় আরএসএস-এর বিরাগভাজন হতে হয়েছে তাঁকে। তবে এসব ঘটনায় আমল দিতে নারাজ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।

তৃণমূলে থাকাকালীন সাংসদ তথা রেলমন্ত্রী হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে এমনিতেই পরিচিত নাম মুকুল রায়। দিল্লির নেতাদের সঙ্গে মুকুলের ঘনিষ্ঠতাও সর্বজনবিদিত। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বরাবরই মুকুলের সখ্যতা রয়েছে। অমিত শাহ নিজেও পছন্দ করেন মুকুলকে। কিন্তু বঙ্গ বিজেপিতে এখনও মুকুল রায়কে প্রথম সারিতে নেমে রাজনীতি করতে দেখা যায়নি। বরং অনেক সময় দলের অন্দরেই দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে দ্বিমত তৈরি হয়েছে মুকুল রায়ের। তবে পোড়খাওয়া রাজনীতিক সেকথা বুঝতেই দেননি অন্যদের। প্রকাশ্যে মতান্তর নিয়ে সেভাবে মুখও খোলেননি মুকুল।

তবে রাজ্য রাজনীতির আঙিনা ছেড়ে দিল্লির রাজনীতিই যে তাঁর পছন্দ সেকথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আগেই জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গেও কথা হয়েছে মুকুলের। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্য থেকে ১৮টি আসন পেয়েছে পদ্ম শিবির। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। দু’জনকেই প্রতিমন্ত্রী করেছেন মোদী-শাহরা।

দ্বিতীয় মোদী-মন্ত্রিসভার প্রথম সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের আগেই মুকুল রায়কে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে। রাজ্যসভায় এনেই মুকুল রায়কে কেন্দ্রের কোনও মন্ত্রকে আনা হতে পারে। শুধু মুকুলই নন। মোদী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হলে মুকুলের পাশাপাশি শিকে ছিঁড়তে পারে বাংলার আরও কয়েকজন বিজেপি সাংসদের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*