অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলে আক্রমণ করেছিল বিজেপি। যার জবাব দিল্লির মানুষ দিয়েছে বিজেপিকে, এমনটাই বলছেন আপের কর্মী-সমর্থকরা। দিল্লির বুকে ১৩টিরও কম বিধানসভা আসনে এগিয়ে বিজেপি। অন্যদিকে ৫০টিরও বেশি আসনে এই মুহূর্তে এগিয়ে আম আদমি পার্টি। কার্যত জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই ফলাফল সামনে আসতেই দিল্লির বুকে বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন কর্মী-সমর্থকরা। আর এই ফলাফল দেখার পরেই কার্যত হার স্বীকার করে নিয়েছে বিজেপি।
একেবারে শুনশান বিজেপি অফিসে নজিরবিহীন পোস্টার। যেখানে স্পষ্ট লেখা, পরাজয়ে আমরা নিরাশ হই না। যদিও ভোট গণনার শুরুতে সবকিছু বদলে যাওয়ার আশা দেখেছিলেন দিল্লির বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। যদিও এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের দাবি থেকে সরে এসেছেন মনোজ। তাঁর দাবি, রাজ্য শাখার প্রধান আমি, তাই সব দায় আমার।
মনোজ তিওয়ারির পাশাপাশি দলের পরাজয় মেনে নিয়েছেন দিল্লির বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরিও। তবে দলের এহেন পরাজয়ের দায় দলের কর্মীদের উপরেই চাপিয়েছেন রমেশ। তাঁর দাবি, বিজেপির উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা।
পাশাপাশি তাঁর মতে, বিদ্যুৎ বিনামূল্য করে দেওয়ার যে নীতি আপ নিয়েছিল, তাতেই গরিবদের পাশে পেয়ে গিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি আরও বলেন, ভোটের কয়েকমাস আগে যেভাবে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়ার যে ঘোষণাকরেছেন কেজরিওয়াল তা একেবারে আপ সরকারের মাস্টারস্ট্রোক ছিল।
শুধু তাই নয়, আপের এই প্রকল্প গরিবদের ওপরে ভীষণ প্রভাব ফেলেছে বলেও দাবি তাঁর। বিজেপি সাংসদের মতে, আমাদের কর্মীরা যদি তৃণমূল স্তরে গিয়ে মানুষদের সঙ্গে মিশে আমাদের প্রকল্পগুলির ব্যাপারে বলতে পারতেন, তা হলে আমাদের ফলও ভালো হত।
প্রসঙ্গত, গত বছর দুশো বা তার কম ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করলে সাধারণ মানুষকে আর তার দাম দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। কেজরি সরকারের এই প্রকল্প দিল্লির মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
তবে শুধু দিল্লিতেই এই প্রকল্প আটকে থাকা নয়, কেজরির পথেই এবার বিদ্যুৎে সুবিধা দেবে মমতা সরকারও। মাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে বাংলাতেই বিদ্যুৎ মকুব।
Be the first to comment