বকেয়া ডিএ পাওয়ার আশা যে খুবই কম সেটা আগেই বুঝেছেন সরকারি কর্মচারীরা। এদিন ফের বুঝলেন। এদিন এই প্রসঙ্গ উঠতেই রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভায় তিনি বলেন, “১২৫ শতাংশ দিয়েছি। টাকা থাকলে তবে তো দেব।”
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় যে ভাষণ দিয়েছিলেন বিধানসভায়, তার উপরে এদিন ধন্যবাদ জ্ঞাপক ভাষণ দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গ তোলেন সিপিএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন। আর তখনই বিধানসভায় উপস্থিত তৃণমূল বিধায়করা চিৎকার করে আমজাদ হোসেনকে চুপ করিয়ে দেন। এর পরেই মমতা বলেন, রাজ্য সরকারের হাতে বকেয়া ডিএ দেওয়ার মতো টাকা নেই। ইতিমধ্যেই ১২৫ শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছে। বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নতুন বেতন কাঠামো চালু হয়েছে।
সম্প্রতিই রাজ্যে সরকারি কর্মচারিদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো চালু হয়েছে। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতনে আলাদা করে কোনও ডিএ প্রাপ্তি নেই। চলতি বছরে নতুন করে ডিএ দেওয়া হবে কিনা তানিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বাজেট পেশের পরেও। কারণ, রাজ্য বাজেটে চলতি বছরে বেতন বাবদ যা বরাদ্দ রয়েছে তাতে ডিএ বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে না সরকারি কর্মচারিরা।
Be the first to comment