রোগীমৃত্যু জারি থাকলেও ধীরে ধীরে কমছে কোরোনার প্রভাব। গতকাল ১৪৩ জন কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু ঘটেছে। মোট মৃতের সংখ্যা পৌছালো ১৫২৩-এ ৷ চিনজুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৭,৫৩৫ ৷
বাসিন্দারা কোরোনা আক্রান্ত কিনা, তা নির্ণয়ের জন্য ফুসফুসের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়ছে রোগের লক্ষণ ৷ প্রথমদিন এই পদ্ধতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে ধরা পড়লেও বর্তমানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য কমিশনের তরফ থেকে৷ কাল নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৪১ জন ৷
বাকি দেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কোরোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি ৷ মৃতদের মধ্যে ১৩৯ জনই হুবেইয়ের বাসিন্দা ৷ ২৪২০ জন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছে মারণ ভাইরাসে ৷ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ১৭১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন কোরোনা ভাইরাসে, তাদের মধ্যে 6জন মৃত্যু পথযাত্রী ৷ অনেকে হুবেইতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ৷ পর্যাপ্ত মাস্ক ও পোষাক না থাকাতেই তারা আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে ৷
গতকাল ৮৪৯ জন কোরোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩৭৩ জন ৷ এখনও ১১,০৫৩ জন কোরোনা আক্রান্ত গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৷ ৮৯৬৯ জন ব্যক্তি কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছে স্বাস্থ্য কমিশন ৷
অন্যদিকে চিনের রাষ্ট্রপ্রধান শি জিনপিং ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটার ইত্যাদি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন যা মহামারী পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ, ভাইরাস শনাক্তকরণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে ৷ ইতিমধ্যেই ইউহানের হাসপাতালগুলিতে রোবট পাঠানো হয়েছে, যা রোগীদের চিকিৎসায় সাহায্য করবে ৷ চিনের বাইরে ৫৮০ জন কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷
Be the first to comment