নতুন করে উত্তেজনা বাড়ছে আমেরিকা এবং তেহরানের মধ্যে। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন জোটের সামরিক ঘাঁটিতে নতুন করে বিস্ফোরণ। আজ রবিবার ভোররাতে প্রবল এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তীব্র আলোর ঝলকানি এবং প্রচন্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। যদিও এই বিস্ফোরণের কারণ ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে ইরানের ছোঁড়া রকেটে হামলার পরেই এই বিস্ফোরণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিস্ফোরণ হওয়া ওই সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছেছেন মার্কিন সেনা আধিকারিকরা। তবে এই হামলায় এখনও পর্যন্ত কেউ হতাহত বা কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তারা তাৎক্ষণিকভাবে তা বলতে পারেননি।
বাগদাদের গ্রিন জোনের ভিতরে এই ঘাঁটির পাশেই মার্কিন দূতাবাস। প্রায়ই এই দূতাবাসের কাছে বা কখনও কখনও দূতাবাসটিতেও রকেট হামলা হয়। এই হামলার কোনও পক্ষ এই সমস্ত হামলার দায় স্বীকার না করলেও আমেরিকা ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলিকে এই সমস্ত হামলার জন্য দায়ী করে আসছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কাছে বেশ কয়েকটি রকেট আঘাত হেনেছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। হামলার সময় সতর্কতামূলক সাইরেনও বাজানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
prsngt, ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সামরিক ঘাঁটি কে-ওয়ানে রকেট হামলায় মার্কিন এক সেনা কমান্ডারের নিহত হওয়ার পর তার জের অনেকদূর গড়ায়। সেনা-জওয়ানের হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত হাশেদ আল শাবি মিলিশিয়ার বাহিনীর একটি উপদলের ওপর বিমান হামলা চালায় আমেরিকা। এতে ৩০ জনেরও বেশি নিহত হয়।
এর কয়েকদিনের মধ্যেই বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি ও তার ডান হাত বলে পরিচিত হাশেদের উপপ্রধান আাবু মাহদি আল মুহান্দিস নিহত হন। তখনই এই দুই কমান্ডারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের তাৎক্ষণিভাবে ইরাক ছাড়ার দাবি জানিয়েছিল হাশেদের উপদলগুলো।
Be the first to comment