সংশোধনাগারের দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে জখম করার চেষ্টা করল নির্ভয়া মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা। ৩ মার্চ ফাঁসি দেওয়া হবে নির্ভয়ার চার দোষীকে। তার সপ্তাহ দুয়েক আগে এই ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে কোথাও কি আবার সাজা বিলম্বিত করার চেষ্টা চলছে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
প্রায় সাত বছর পর শেষমেশ নির্ভয়া মামলার রায় দেয় আদালত। প্রথমে ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হয় ৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে মুকেশের প্রাণভিক্ষার আবেদনের কারণে পিছিয়ে যায় ফাঁসির দিন ৷ নতুন করে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির দিন ঠিক করা হয় ৷ কিন্তু আবার পিছিয়ে যায় ফাঁসির দিন। বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন নির্ভয়ার মা। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিল বিনয়ও। কিন্তু, তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই খারিজকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় বিনয়।
বিনয়ের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেন, সংশোধনাগারে থাকাকালীন অত্যাচার হয়েছে বিনয়ের উপর। কিন্তু, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজের সময় বিনয়ের মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করেননি রাষ্ট্রপতি। শেষমেশ বিনয়ের আবেদনও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালেই সংশোধনাগারের দেওয়ালে মাথা ঠুকে নিজেকে জখম করার চেষ্টা করে বিনয়। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি নতুন কোনও পরিকল্পনা করছে বিনয়? নিজেকে আঘাত করে ফাঁসির দিন আবার পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনায় নেই তো সে? তাহলে কি আবার কোনও মামলা? কয়েকদিন আগেই বিনয়ের আবেদন খারিজ করার সময় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, বিনয় মানসিকভাবে সুস্থ এবং তার শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল। এবার কি তবে শারীরিকভাবে নিজেকে জখম করে নতুন ছক কষছে বিনয়? আবার কি পিছিয়ে যাবে ফাঁসির দিন? আপাতত ৩ মার্চের অপেক্ষা।
Be the first to comment