চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার ভেঙে নতুন ফ্লাইওভার তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য় সরকার। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, অন্যান্য সব দফতরের গ্রিন সিগন্যাল পেলে নগরোন্নয়ন দফতরের নিজস্ব টাকাতেই ফ্লাইওভার তৈরি হবে।
গতবছর চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর বন্ধ হয়ে গিয়েছে বড় গাড়ি চলাচল। আপাতত চলছে ছোট গাড়ি। সেটাও কতদিন চলবে তা নিয়ে ঘোর সংশয় রয়েছে। পুরো যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেই সাধারণ মানুষের দীর্ঘ ভোগান্তি শুরু হবে ৷ তবে নতুন ফ্লাইওভার হলে বাইপাস যানজটমুক্ত হবে বলে দাবি কেএমডিএর ৷
মাঠপুকুর থেকে ভেড়ি হয়ে যে ফ্লাইওভার বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার কিন্তু ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই নগরোন্নয়ন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে,চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার ভেঙে নতুন ফ্লাইওভার তৈরি করা হবে। নতুন ফ্লাইওভার মেট্রোপলিটন থেকে চিংড়িঘাটা হয়ে নিকোপার্ক পেরিয়ে শেষে যাবে নিউটাউন। এর জন্য ডিটেলস প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। নতুন উড়ালপুল যাতে আয়তনে বড় হয় এবং যাওয়া ও আসার দু’টি রাস্তাই থাকে, সেই ব্যাপারেও পরিকল্পনা করার কথা ভাবা হয়েছে।
ওই উড়ালপুল দিয়ে শুধুমাত্র সল্টলেক অভিমুখেই যান চলাচল করে। কেএমডিএ-র কর্তারা বলছেন, নতুন উড়ালপুলে দু’টি লেন থাকলে যানবাহনের গতি আরও বাড়বে এবং যানজটও কম হবে। প্রাথমিক সমীক্ষায় দুই লেনের রাস্তা করার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই বলেই কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
Be the first to comment