রাত ৮টায় নেতাজি ভবন থেকে যাত্রা শুরু, গান স্যালুটে বিদায় কৃষ্ণা বসুকে

Spread the love

শনিবার দুপুর একটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে মরদেহ এলগিন রোডের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, শ্রদ্ধাজ্ঞাপণের জন্য তাঁর দেহ বিকেল তিনটে থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাখা থাকবে এলগিন রোডের নেতাজি ভবনে। এদিন বিকেলে সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও, সেখানেই তিনি কৃষ্ণা বসুর দুই ছেলেকে পাশে নিয়ে গান স্যালুটে বিদায় জানানোর ঘোষণা করেন।

কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ১৯৩০-এর ২৬ ডিসেম্বর পূর্ববঙ্গে জন্ম হয় তাঁর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর শুরু করেন শিক্ষকতা। প্রায় ৪০ বছর সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ওই কলেজে অধ্যক্ষও ছিলেন কৃষ্ণা। যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লড়ে টানা তিন বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন কৃষ্ণা বসু। ১৯৯৬-এ কংগ্রেসের হয়ে লড়ে প্রথম বারের জন্য সাংসদ হন।

১৯৯৮ ও ১৯৯৯-এ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হন তিনি। বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাইপো চিকিৎসক শিশির বসুর স্ত্রী ছিলেন কৃষ্ণা। তাঁর পুত্র সুগত বসুও ২০১৪-য় তৃণমূলের টিকিটে যাদবপুর থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন। রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কৃষ্ণা বসু শিক্ষাবিদও ছিলেন। কৃষ্ণা বসু ‘অ্যান আউটসাইডার ইন পলিটিক্স’, ‘এমিলি অ্যান্ড সুভাষ’, ‘লস্ট অ্যাড্রেসেস’, ‘চরণরেখা তব’, ‘প্রসঙ্গ সুভাষচন্দ্র’, ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ ইত্যাদি গ্রন্থের লেখিকা ছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*