তিক্ততা ভুলে পুরীর মন্দিরে পুজো দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকে যাতে শান্তিতে দেশে বাঁচতে পারেন, সেই কামনা করেছেন বলেই জগন্নাথ দেবদর্শনের পর জানান তিনি। আপাতত একাধিক কর্মসূচি নিয়ে ওড়িশা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং শুক্রবার অমিত শাহের পৌরোহিত্যে ইস্টার্ন রিজিওনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
২০১৭ সালেও পুরীর মন্দিরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রী গোমাংস ভক্ষণের অধিকারের পক্ষপাতী হওয়ায় সেই সময় তাঁকে মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেয় শ্রী জগন্নাথ সেবাইত সম্মিলনী। অবশেষে যদিও জগন্নাথ দেবকে পুজো দেন তিনি। অতীতের ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার যাতে কোনও অশান্তি তৈরি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর ছিল ওড়িশা পুলিশের। বুধবার সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল মন্দির চত্বর। দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ পর পুজো সেরে মন্দির থেকে বেরিয়ে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দিল্লির পরিস্থিতি দেখে আমার খুব দুঃখ হয়েছে। হিংসা আমরা চাই না। দেশের প্রত্যেকে শান্তিতে থাকুক এটাই চাই। আমি এসেছি শান্তির জন্য।”
আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। আগামী শুক্রবার ভুবনেশ্বরের একটি পাঁচতারা হোটেলে ইস্টার্ন রিজিওনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পৌরহিত্যে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বাংলা, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়-সহ মোট পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবরা। ওই বৈঠকে রাজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমস্ত অন্তর্দেশীয় সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বিশেষ রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। আপাতত ওই বৈঠকের দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।
Be the first to comment