নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে রবিবার সভা করতে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও সিএএ’র সমর্থনে এই সভা হলেও শাহের বক্তব্যে বারবার উঠে আসে বাংলা দখলের কথা। রাজনৈতিকমহল মনে করছে, এদিন আদৌতে সিএএ সমর্থনে অমিতের সভা হলেও আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিলেন এই মঞ্চ থেকে। উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন।
যদিও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু মানুষকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভুল বোঝাচ্ছে। আর তা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই করছেন বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন অন্যদিকে রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষকেও সিএএ নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘আমি শহরের সমস্ত সংখ্যালঘুকে আশ্বস্ত করছি, কারও নাগরিকত্ব খারিজ হবে না। নাগরিকত্ব নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার আইন নয়।’ তাঁর মতে, রাজনৈতক স্বার্থে অনেকে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। শাহের দাবি, এই আইনে নাগরিকত্ব পেতে গেলে থানা পুলিশ করতে হবে বলে ভয় দেখাচ্ছে। এসবে ভয় পাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাধা দিলেও প্রত্যেকটি শরণার্থীকে নাগরকিকত্ব দেবে মোদী সরকার, হুঁশিয়ারি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেন অমিত শাহ। তিনি দাবি করেন, বিরোধিতায় থাকাকালীন অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে সংসদের অধিবেশন অচল করে দিয়েছিলেন মমতা। তিনিই ক্ষমতায় আসার পর ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করতে এর বিরোধিতা করছেন। আসলে এই কাজ করে হরিচাঁদ – গুরুচাঁদ ও পঞ্চানন বর্মার আন্দোলনকে অপমান করছেন তিনি, চাঞ্চল্যকর দাবি শাহের।
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়েছে গত বছরের শেষে। এখনও সেই ইস্যুতে জ্বলছে দেশ। বিভিন্ন জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। কেন নাগরিকত্ব আইনে বাদ পড়লেন মুসলিমরা, তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আরও একবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত শুক্রবারও ভুবনেশ্বেরর সভায় গিয়ে সাফ জানালেন, কোনও মুসলিমদের নাগরিকত্ব চলে যাবে না এই আইনে।
Be the first to comment