দিল্লির গোলি মারো স্লোগান এখানে চলবে না, যারা বলেছে রাতেই গ্রেফতার করেছি’, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে নিশানা তৃণমূলনেত্রীর। রবিবার কলকাতায় অমিত শাহের সভা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ধর্মতলা চত্ত্বরে অমিত শাহ গো-ব্যাক স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র-যুবরা। সেখানেই পাল্টা ‘দেশ কে গাদ্দারো কো গোলি মারো’ স্লোগান ওঠে। আগেও দিল্লিতে শাহিনবাগের সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের নিশানা করে এই স্লোগানই দিতে দেখা গিয়েছিল বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতাকে।
বাংলায় সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের জায়গা নেই, সোমবার আবারও একবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির মেরকরণের রাজনীতির জেরেই দেশে ক্রমেই সাম্প্রদায়িক গন্ডগোল মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে বিজেপি মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করছে বলেও সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার কলকাতায় অমিত শাহের সভার আগে উত্তেজনা ছড়ায়। ধর্মতলা চত্বরে অমিত শাহ গো-ব্যাক স্লোগান তুলে সরব হন বাম ছাত্র-যুবরা। উল্টোদিক থেকে তখনই এসে জড়ো হয় বিজেপির একটি মিছিল। শহিদ মিনার চত্বরে অমিত শাহের সভায় যাওয়ার কথা ছিল সেই মিছিলের।
ধর্মতলায় বাম ছাত্র যুবদের জমায়েতের কাছাকাছি বিজেপির ওই মিছিল এলে উত্তেজনা ছড়ায়। বাম ছাত্র যুবদের লক্ষ্য করে শুরু হয় পাল্টা স্লোগানিং। উল্টোদিকে বামেদের তরফেও তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। দু’পক্ষকে শান্ত করতে কার্যত নাজেহাল দশা হয় পুলিশের।
এরই মধ্যে বিজেপির মিছিল থেকেই ওঠে ‘দেশ কে গাদ্দারো কো গোলি মারো’ স্লোগান। দিল্লিতেও এই স্লোগান ঘিরে তুমুল বিতর্ক ছড়িয়েছিল। এবার কলকাতাতেও ফের সেই একই স্লোগানে ছড়িয়েছে বিতর্ক। রবিবারের সেই ঘটনার রেশ টেনেই এদিন দলের সভায় ফের বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূলনেত্রী।
বিজেপিকে বিঁধে তাঁর প্রশ্ন, ‘কারা গদ্দার, সেটা বিচার করার আপনারা কে?’ তিনি আরও বলেন, ‘গোলি মারো স্লোগান যারা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়। রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ধরনের উক্তি মেনে নেওয়া হবে না। কড়া হাতে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’
বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থেই ভেদাভেদের রাজনীতি করে বলে অভিযোগ মমতার। এই প্রসঙ্গে দলীয় কর্মীদের সজাগ করতে নেত্রীর পরামর্শ, ‘দোল, হোলি ও রামনবমীর আগে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা হবে। কোনও প্ররোচনাতেই পা দেবেন না।’
Be the first to comment