দিল্লির হিংসায় যাঁরা গৃহহীন কিংবা আতঙ্কে দিন কাটছে, তাঁদের বাংলায় স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি বললেন, ‘আমি নিজে দু’মুঠো ভাত খেতে পেলে , তাঁদের একমুঠো ভাত নিশ্চয়ই দেব’। এদিন ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দিল্লি থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন হাজার হাজর মানুষ। আজ তাঁরা গৃহহারা, সন্তান হারা, খাদ্য হারা, সন্ত্বান হারা, তাঁদের জন্য আমাদের কিছু করবার প্রয়োজন রয়েছে।’ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘যাঁরা মানুষকে আশ্রয়হীন করতে পারেন,তাঁরা মানুষকে আশ্রয় দিতে পারেন না, সেক্ষমতা নেই।
এরপরই তিনি বলেন, ‘এই বাংলা সেই বাংলা যাঁরা মায়ের আঁচল দিয়ে সকলকে ভালোবাসে, চোখের জল মুছিয়ে দেয়।’ এদিন সভা মঞ্চ ছেকেই বাংলার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে , তৃণমূল কংগ্রেস এবার দিল্লি হিংসার দুঃস্থদের সাহায্যের জন্য তহবিল গঠন করছে। এর দায়িত্ব তিনি ডেরেক ও ব্রায়নকে দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পাঁচ পয়সা দিতে পারলেও দেব, পঞ্চাশ পয়সা দিতে পারলেও দেব।আমি ভিক্ষা চাইনা কারো কাছে। আমি নিজে দু’মুঠো ভাত খেতে পেলে , আমি এক মুঠো ভাত তাঁদের দেব। নিশ্চয়ই দেব। ‘
অন্যদিকে, দিল্লির সংঘর্ষের সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিল্লির ঘটনাকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে দলের সভায় দলীয় কর্মসূচি ঘোষণার পাশাপাশি দিল্লির সংঘর্ষ নিয়েও বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। দিল্লিতে গুজরাত মডেল প্রয়োগ হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলনেত্রীর। দিল্লির ঘটনায় মর্মাহত তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকল্পনা করেই দিল্লিতে সংঘর্ষ বাধানো হয়েছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তবে এদিন দিল্লির সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পাশাপাশি দলের নেতা-কর্মীদেরও সজাগ থাকতে বার্তা দেন মমতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, ‘দিল্লির নেতাদের দেখে ঔদ্ধত্য শিখবেন না। বিজেপি পরিকল্পনা করে দিল্লিতে দাঙ্গা করেছে।’ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি রাজধানীতে সংঘর্ষ বাধিয়েছে বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজধানী দিল্লিতে এত বড় সংঘর্ষ হলেও সেই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতারা দুঃখপ্রকাশের কোনও প্রয়োজনই অনুভব করেননি বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা।
Be the first to comment