১৩ বছরের দীর্ঘ ব্যর্থতা কাটিয়ে বাংলা আবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে৷ বাংলা শেষবার রঞ্জির খেতাবি লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল ২০০৬-০৭ মরশুমে৷ ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হারতে হয়েছিল সেবার৷ এবার ফাইনালে অভিমন্যু ঈশ্বরনদের প্রতিপক্ষ কোন দল হবে, তা এখনও নির্ধারিত না হলেও সেমিফাইনালে তারকাখচিত কর্ণাটককে উড়িয়ে আপাতত ট্রফির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলা৷
ঘরের মাঠে শেষ চারের লড়াইয়ে বাংলা ১৭৪ রানে পরাজিত করে করুণ নায়ার, মণীশ পান্ডে, লোকেশ রাহুলের মতো তারকা সমৃদ্ধ কর্ণাটককে৷ টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা প্রথম ইনিংসে ৩১২ রান তোলে৷ দুরন্ত শতরান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার (অপরাজিত ১৪৯)৷ কার্যকরী অবদান রাখেন শাহবাজ আহমেদ (৩৫) ও আকাশ দীপ (৪৪)৷ পালটা ব্যাট করতে নেমে ইশান পোড়েলের আগুনে বোলিংয়ে (৩৯/৫) ঝলসে যায় কর্ণাটকের প্রথম ইনিংস৷ তারা ১২২ রানে অল-আউট হয়ে যায়৷
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৯০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ১৬১ রান৷ সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪৫) ও অনুষ্টুপের (৪১) সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন শাহবাজ (৩১)৷ জয়ের জন্য ৩৫২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা কর্ণাটক মুকেশ কুমারের ধ্বংসাত্মক বোলিংয়ে গুটিয়ে যায় ১৭৭ রানে৷
তৃতীয় দিনের শেষে কর্ণাটক তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৯৮ রান তুলেছিল৷ চতুর্থ দিনের সকালেই মুকেশ কুমার ধস নামান কর্ণাটকের ব্যাটিং লাইনআপে৷ দেবদূত পাডিক্কল এক প্রান্ত আঁকড়ে ৬২ রান করলেও অপর প্রান্ত দিয়ে পর পর সাজঘরে ফেরেন মণীশ পান্ডে (১২), সিদ্ধার্থ কৃষ্ণমূর্তি (০), শ্রীনিবাস শরৎরা (০)।
দেবদূত আউট হওয়ার পর কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালানোর চেষ্টা করেন অভিমন্যি মিঠুন৷ তবে গৌতম আউট হয়ে বসেন ২২ রান করে৷ রনিত মোরে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন৷ শেষমেশ মিঠুনকে (৩৮) বোল্ড করে বাংলার জয় নিশ্চিত করেন আকাশ দীপ৷ মুকেশ কুমার ৬১ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন৷ ইশান ও আকাশের সংগ্রহ ২টি করে উইকেট৷ বোলিং পিচে দুরন্ত ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা হন অনুষ্টুপ৷
Be the first to comment