কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রতিশ্রুতি মত কেএলও জঙ্গী সংগঠন ছেড়ে আসা ১৫ জন সদস্যদের সঙ্গে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিলেন সরকারি চাকরি। আর তাতেই খুশির জোয়ার নেমে এসেছে মালদহের কেএলও জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে আসা ১৫ জন সদস্য ও তাদের পরিবারের মধ্যে।
যদিও ওই কেএলও সংগঠন ছেড়ে আসা সদস্যদের বক্তব্য, এদিন অনেকেই আসতে পারেন নি । আমরা ১৫ জন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। তার কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম সরকারি চাকরির। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুরোধ শুনে সরকারি চাকরির দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের হোম গার্ডের নিয়োগ করার ব্যাপারে উনি জানিয়েছেন। আমরা খুশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে কথা রেখেছেন। তাতে নতুনভাবে ভবিষ্যৎ গড়ার দিশা দেখছেন কেএলও জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে আসা মালদার ওই সদস্য ও তাদের পরিবারেরা।
উল্লেখ্য, পাঁচদিনের গৌড়বঙ্গ সফরে মালদহে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরাতন মালদহের মহানন্দা ভবনের অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। বুধবার সকালে কেএলও সংগঠন ছেড়ে আসা ১৫ জন সদস্য প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর অনুরোধ জানান। ওই সদস্যদের অনুরোধ গিয়ে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
এরপরই ওই নিষিদ্ধ সংগঠন ছেড়ে আসা সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য রাজি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে ওই ১৫ জন সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করেন এবং তাদের সমস্যার কথা শুনেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের হোম গার্ড পদে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেএলও জঙ্গি সংগঠন ছেড়ে আসা হবিবপুরের বাসিন্দা সৌমেন সরকার, সুকুমার রায় বলেন, এরকম মালদহে প্রায় ৪০ জন রয়েছেন, যারা একসময় কেএলও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিন আগেই রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি মত আমরা ওই সংগঠন ছেড়ে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলাম। স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরে এসেছি। এখন আমরা চাই রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি মতোন ভবিষ্যতে কিছু একটা ব্যবস্থা করে দিক।
অনেকদিন ধরেই মালদার গাজোল, হবিবপুর, বামনগোলা সহ বিভিন্ন এলাকার ওই জঙ্গী সংগঠন ছেড়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি সদস্য রয়েছেন। তাদের চাকরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দিন দেখা করা হয়েছে। এদিন ১৫ জন মিলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে সঙ্গে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতিতে অত্যন্ত খুশি।
Be the first to comment