কথা ছিল বৃহস্পতিবার, কিন্তু না। সব জল্পনা উড়িয়ে বুধবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া তিনি যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। বিজেপি সূত্রে খবর, আজ দুপুর সাড়ে বারোটায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার উপস্থিতিতে দলে যোগ দিতে পারেন তিনি। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের সরকার টিকিয়ে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কংগ্রেস। বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজস্থানের জয়পুরে।
মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। তার পর সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। চিঠি দিয়ে তিনি তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার কথা জানান অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মদিকেও। এর কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ২১ জন আইনজ্ঞ। সূত্রের খবর মিলছে রাজ্যসভার সদস্যপদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হতে পারে সিন্ধিয়াকে।
আপাতত বিজেপির হাত ধরা জ্যোতিরাদিত্যের শুধু অপেক্ষা আনুষ্ঠানিকতাঁর। কিন্তু দিল্লিতে না গোয়ালিয়রের রাজপ্রাসাদে বিজেপিতে যোগ দেবেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জ্যোতিরাদিত্যর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ফিরে এসেছে রিসর্ট রাজনীতি। ‘বিদ্রোহী’ ২১ জন কংগ্রেস বিধায়ক বেঙ্গালুরুর হোটেলে ছিলেনই।
আজ বুধবার কমল নাথ শিবিরের বিধায়কদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজস্থানে। সেখানকার বুয়েনা ভিস্তা রিসর্টের ৫২টি ঘরের মধ্যে ৪২টিই বুক করে নিয়েছে কংগ্রেস। দলে রয়েছেন ৯২ জন বিধায়ক। বাকি ঘরগুলিও খালি হলেই কংগ্রেসের তরফে বুক করে নেওয়া হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। গত বছর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে সংঘাতের সময়ও কংগ্রেসের বিধায়কদের এই হোটেলেই রাখা হয়েছিল।
Be the first to comment