নির্ভয়া-কাণ্ডের অপরাধীরা সমস্ত রকম আইনি সুযোগ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এবার তারা দ্বারস্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত (আইসিজে)-র। সোমবার তাদের শেষতম কিউরেটিভ পিটিশন কারিজ হয় সুপ্রিম কোর্টে, তার পরেই আইসিজে-র শরণাপন্ন হয়েছে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত তিন জন অপরাধী: অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত এবং বিনয় শর্মা। তাদের আবেদন, মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।
একাধিকবার পিছিয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে আগামী ২০ মার্চ, শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটায়, দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসি হওয়ার কথা ২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ মামলার চার জন আসামির। কিন্তু যেনতেনপ্রকারে যেন ফাঁসি এড়াতে মরিয়া নির্ভয়ার অপরাধীরা। তিন-তিন বার বিভিন্ন ভাবে আবেদনের জেরে পাঁসির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পরে, আজ সুপ্রিম কোর্টে ছিল শেষ শুনানি।
জানা গিয়েছে, আজকের শুনানির পরে দোষীদের আইনজীবী এপি সিংও সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন যে এবার আর আদালতের ফাঁসির দিনক্ষণ ঠিক করার ক্ষেত্রে বাধা নেই। অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে সাজা মকুব বা ফাঁসি পিছোনো কিংবা অন্যান্য কোনও টালবাহানা করার সমস্ত পথ এবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে চার দোষীর সামনে।
কিন্তু বিকেল হতেই খেলা ঘুরে গেল আবার। ইতিহাসে নজিরবিহীন ভাবে আন্তর্জাতিক আদালতে গেল তিন অপরাধী। এর আগে দেশের কোনও ধর্ষক ফাঁসি রদের দাবিতে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বলে খবর নেই। তবে নির্ভয়ার তিন ধর্ষক আন্তর্জাতিক আদালতে গেলেও, চতুর্থ অপরাধী মুকেশ কেন এই পথে হাঁটল না, তা নিয়ে ধন্দ বেড়েছে আইন-মহলে।
আইনজীবী মহলের একাংশের দাবি, নানারকম টালবাহানা করে ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ করা হল। চতুর্থ অপরাধী অর্থাৎ মুকেশ হয়তো অন্য কোনও তাস লুকিয়ে রাখল হাতে! তবে কোনও দেশের ধর্ষকদের ফাঁসি সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া অর্থহীন বলেও মনে করছেন অনেকে।
Be the first to comment