শান্তি পেল নির্ভয়া। দেরি হল ঠিকই, কিন্তু শাস্তি পেল নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীরা। সাড়ে ৫ টা নাগাদ ফাঁসি দেওয়া হয় নির্ভয়ার চার ধর্ষক-খুনীকে। ফাঁসির পর প্রোটোকল অনুযায়ী ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয় দোষীদের দেহ। এরপর নীচে নামানো হয় চারটি দেহই। পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এরপর দেহ পোস্ট-মর্টেমে পাঠানো হবে।
এদিন ভোর সোয়া তিনটে নাগাদ ঘুম থেকে তোলা হয় চার অভিযুক্তকে। চান করানো হয়। ফাঁসির জন্য তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে নিয়ে যাওয়া হয় ফাঁসি ঘরের দিকে। নিয়ে যাওয়ার পথে এক অভিযুক্ত মাটিতে শুয়ে পড়ে। তাকে টেনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঘরে। শোনানো হয় মৃত্যু পরোয়ানা।
১২০ মিনিটের কাউন্টডাউন শেষে ফাঁসুড়ে পবন ট্রিগার টেনে একসঙ্গে চার অভিযুক্তের ফাঁসি দেয়। এরপর ৩০ মিনিট ফাঁসি কাঠে ঝুলতে থাকে দেহ। আধ ঘণ্টা পর কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয় দেহ।
অন্যদিকে চার দোষীর মৃত্যুদন্ডের খবর বাইরে আসতেই হাততালি পড়তে থাকে। কয়েকশ মানুষ একসঙ্গে হাততালি দিতে থাকেন। এদিন বহু মানুষ প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে জেলের বাইরে ভিড় জমান। যার মধ্যে অনেকেই দাবি করেন যে, এমন ভাবেই যেন আগামীদিনে সমস্ত মহিলার উপর হওয়া ঘটনার বিচার হয়। কেউ কেউ আবার দেশের একাধিক আদালতে চলা ধর্ষনের ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
নির্ভয়ার মা শপথ নিলেন আগামিদিনে দেশের কোনও নির্ভয়ার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলে পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। লড়াই করবেন। পরিবারকে সাহস জোগাবেন।
Be the first to comment