রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ত্রাণ তহবিল ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । বিনামূল্যে চাল, চিকিৎসকদের পুজোর পরে বাড়তি ছুটির প্রস্তাব সহ একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী । পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কর্মী সংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে এনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কাজ চালানোর প্রস্তাবও দিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে কোরোনা আতঙ্ক থানা বসিয়েছে। মাত্র দিন তিনেকের মধ্যে রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতায় কোরোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি দু’জন। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বহুগুণ বেড়েছে । পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কোরোনা আক্রান্ত এক যুবকের মা রাজ্য সরকারের শীর্ষপদে কর্মরত হওয়ায় এবং তাঁর বেশ কিছু অসচেতনমূলক পদক্ষেপের জন্য।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি যত জটিল হচ্ছে , ততই ফাঁকা হচ্ছে বাজার-শপিং মল থেকে শুরু করে ট্রেন, বাস। নিত্যযাত্রীর সংখ্যাও কমছে । রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় সবজি বাজারে ক্রেতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার ঘটনা চোখে পড়েছে । কমে গিয়েছে বিক্রেতার সংখ্যাও । মানুষ আতঙ্কিত হয়ে গৃহবন্দী থাকার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য মজুত করতে শুরু করেছে । এবার যাতে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্য নূন্যতম খাদ্যপণ্য অর্থাৎ চাল বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, ২ টাকা কেজি দরে চাল এবার বিনামূল্যে দেওয়া হবে রাজ্যের মানুষকে । ৭ লাখ ৮৫ হাজার রাজ্যবাসী আগামী ছ’মাসের জন্য এই সুবিধা পাবেন।
ইতিমধ্যেই সরকারি অফিসে ছুটির সময় একঘণ্টা এগিয়ে এনেছে নবান্ন। আজ মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও কর্মীসংখ্যা কমিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দিলেন। তাঁর প্রস্তাব পরিস্থিতি যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন যেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি কর্মী সংখ্যা যেন ৫০ শতাংশ নামিয়ে আনে। একইসঙ্গে তাঁর প্রস্তাব পুরো বিষয়টি যেন হয় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা হয় । অর্থাৎ আজ যে ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকবেন, আগামী দিন যেন বাকি ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে আসেন।
Be the first to comment