দিন কয়েক আগেই ছবিটা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু, ধনুকভাঙা পণ করে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়তে চাননি তিনি ৷ অন্যদিকে, আস্থা ভোট দ্রুত করানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির ৷ গতকালই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল আজ আস্থা ভোটের কথা ৷ কিন্তু, তার আগেই মুখ্য়মন্ত্রীর পদ ত্যাগ করলেন কমল নাথ ৷ স্বাভাবিকভাবেই আর কোনও প্রয়োজন থাকল না আস্থা ভোটের ৷ পরিস্থিতি যা, তাতে মধ্যপ্রদেশে গেরুয়া সাম্রাজ্য় শুরু কার্যত সময়ের অপেক্ষা ৷
২৫০১৮-এর ১৭ ডিসেম্বর ৷ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন কমল নাথ। এই পনেরো মাসে তাঁর প্রদেশের জন্য কী কী করেছেন, আজ সাংবাদিক বৈঠকের প্রথমের দিকে উঠে এল সেই সব কথা। এরপর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপিকে। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আসল সত্যিটা কী ? দেশ তা দেখেছে । গোটা দেশ দেখেছে কীভাবে বেঙ্গালুরুতে বিধায়কদের আটকে রাখা হয়েছিল । মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। বিজেপি ভেবেছিল আমার প্রদেশকে হারিয়ে ওরা জিতে যাবে । কিন্তু তা কোনওদিন সম্ভব নয় । ”
পদত্যাগ পত্রে তিনি লেখেন, আমি আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে স্বচ্ছভাবে কাজ করেছি । সর্বদা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু গত দু’সপ্তাহের ঘটনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।
দিন দশেক আগেই রাহুল গান্ধির ‘প্রাণের বন্ধু’ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক মহলে সিন্ধিয়া-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আরও ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক গত সপ্তাহে ইস্তফাপত্র জমা দেন ৷ তারপর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি শিবির কমল নাথ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ৷ এরপর আস্থা ভোট করা নিয়ে শুনানি চলে সুপ্রিম কোর্টে । শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, আজ দুুপুর দুটোয় আস্থা ভোট হবে । অপেক্ষা ছিল বিকেল পাঁচটার আস্থা ভোটের ফলাফলের দিকে । তার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগ করার কথা জানিয়ে দেন কমল নাথ ।
Be the first to comment