গত কয়েকদিনে একধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেইজন্য এবার রেল যোগাযোগে রাশ টানতে চলেছে কেন্দ্র। বুধবার পর্যন্ত কোনও ট্রেন চলবে না বলে জানানো হল রেলের তরফে। ইতিধ্যেই ৩০০ ছাড়িয়েছে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩১৫ জন এখনও পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই সিদ্ধান্ত।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশ মত জারি হয়েছে জনতা কার্ফু। এদিন সকাল ৭ টাকা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কেউ বাড়ি থেকে বেরচ্ছেন না। ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে সূত্রের খবর। আগেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও যাত্রী ট্রেন যাত্রা করবে না। আবার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ভোর ৪টে নাগাদ যে যেখানে পৌঁছবে, সেখানেই থেকে যাবে। সেই মতো রাতেই এক গুচ্ছ ট্রেন বাতিল করা হয়।
রবিবার সকালে দিল্লি এবং মুম্বই স্টেশনের যে ছবি এসে পৌঁছেছে তাতে দেখা যাচ্ছে পুরো ফাঁকা স্টেশন চত্বর। কাউকে দেখা যাচ্ছে না। তবে দিল্লির স্টেশনে বেশ কিছু যাত্রীকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সমস্ত ট্রেন বাতিল থাকায় সমস্যা পড়েছেন তাঁরা। নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না তাঁরা।
শনিবার রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ট্রেনে যাতায়াত করেছেন এমন ১২ জন যাত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এরপরই রেল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে রেল যাত্রা মোটেই সুরক্ষিত নয়। সহযাত্রীর যদি করোনা আক্রান্ত হন তাহলে আপনিও করো না আক্রান্ত হতে পারেন, এমনটাই লেখা হয়েছে সতর্কবার্তায়।
রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা আছে, ‘বেশ কয়েকজন রেল যাত্রীকে করোনা আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছে। তার ফলে রেল যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সহযাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে আপনিও আক্রান্ত হতে পারেন। তাই ট্রেনে যাত্রা করবেন না। আপনার রেলযাত্রা বন্ধ রাখুন ও সবাইকে সুরক্ষিত রাখুন।’
ট্রেন জানিয়েছে গত ১৩মার্চ সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেসে যাত্রা করেছেন এমন ৮ জন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। অন্যদিকে, অন্য রাজ্য থেকে যাতে এরাজ্যে কোনও ট্রেন না আসে, তার জন্য রেলের কাছে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment