গোটা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবারই মারা গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলার আরও তৎপর হল রাজ্য সরকার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি গোটা বিল্ডিংটাই আপাতত করোনা মোকাবিলার জন্য ব্যবহার করা হবে।
জানা গিয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ৩০০টি বেড রয়েছে। সোমবার থেকে সেগুলিই ব্যবহার করা হবে করোনা মোকাবিলায়। বিল্ডিংয়ের উপরের দুটি ফ্লোর করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আর নীচের দুটি ফ্লোর করোনা সন্দেহভাজনদের রাখা হবে। আবার স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে রাজ্যের করোনা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ভাবনা রয়েছে রাজ্যের। যেখানে থাকবে ৩০০০ বেড। তবে আপাতত ৩০০ বেড চালু করা হয়েছে।
রাজারহাটের কোয়রান্টিন, বেলেঘাটার আইডি, আরজি কর এবং এমআর বাঙুর হাসপাতাল মিলিয়ে শুধু করোনা মোকাবিলায় ৮০০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরির কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিকাঠামোর কাজ চলছে। ৩০০ ভেন্টিলেটর, ১০টি ইকমো (এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজিনেশন) ছাড়াও পোর্টেবল এক্স-রে, ডায়ালিসিস এবং ইউএসজি-র সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে।
করোনা মোকাবিলার এর আগে যা ব্যবস্থা করা হয়েছিল: রাজারহাট কোয়রান্টিন কেন্দ্র ৫০০ শয্যা, বেলেঘাটা আইডি ২২ থেকে শয্যা বেড়ে হচ্ছে ১০০। এম আর বাঙুর সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ে ৩০ শয্যার ওয়ার্ড তৈরি। আরও ১২০ শয্যার প্রস্তুতি। আপাতত চারটি ভেন্টিলেটর। আরজি কর ১০ শয্যা। রেসপিরেটরি কেয়ার ইউনিট। এনআরএস অর্থোপেডিক সিবি বিল্ডিংয়ে আট শয্যার ওয়ার্ড তৈরি। বাড়বে আরও ছ’টি। সিএমসি পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ২৬ শয্যার ওয়ার্ড। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী প্রস্তুতি। ন্যাশনাল চক্ষু বিল্ডিংয়ের তেতলায় ছ’শয্যার ওয়ার্ড। সাগর দত্ত সাত শয্যার আইসোলেশন। ন’জনের মেডিক্যাল বোর্ড। এসএসকেএম পরিস্থিতি দেখে ব্যবস্থা।
বেসরকারি হাসপাতালে ব্যবস্থা আপাতত যা: ফর্টিস আনন্দপুর, এক শয্যার পাঁচটি আইসোলেশন কক্ষ। অ্যাপোলো গ্লেনেগলস আপাতত তিনটি। তৈরি হচ্ছে দু’টি ভেন্টিলেটর-সহ আট শয্যার আইসোলেশন। আর এন টেগোর একটি ভেন্টিলেটর-সহ পাঁচ শয্যা। আমরি গ্রুপের তিনটি হাসপাতালে মোট ১৭ শয্যার আইসোলেশন। সিএমআরআই আটটি শয্যা। পিয়ারলেস আটটি শয্যা। মেডিকা চারটি নন-ক্রিটিক্যাল। তিনটি ক্রিটিক্যাল। রুবি দু’টি শয্যা। উডল্যান্ডস চারটি শয্যা। বেলভিউ আটটি শয্যা।
অপরদিকে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতে বাড়ি থেকে আসতে-যেতে না হয়, তাই তাঁদের জন্য হাসপাতালের নাইট শেল্টারে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে থেকেই আপাতত জনস্বার্থে জীবন বাজি রেখে কাজ করবেন তাঁরা।
Be the first to comment