গোটা দেশজুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। শুধু আক্রান্তই নয়, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সোমবার কলকাতায় মারা গিয়েছেন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়। দেশের ১৯ রাজ্যে জারি লকডাউন। যদিও লকডাউন ভাঙার প্রবণতাও রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দল বেঁধে রাস্তায় বেরোনোর প্রমাণ রবিবার ‘জনতা কারফিউ’-র দিন বিকেলে থালা, বাটি বাজানোর চিত্র থেকেই স্পষ্ট। আর এই পরিস্থিতিতে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে পঞ্জাবের এবার মহারাষ্ট্রেও জারি হল কারফিউ। সাধারণ মানুষ আইন ভেঙে রাস্তায় বেরোলে পড়তে হবে কড়া শাস্তির মুখে।
পুনে, নাগপুর-সহ মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অংশে থাবা বসিয়েছে করোনা। সে রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ । দেশে সর্বোচ্চ। মৃত্যুও হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। কিন্তু অনেকের মধ্যেই লকডাউনের বিধিনিষেধ ভাঙার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারির কথা ঘোষণা করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবারের মহারাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাজের সীমান্ত সিলড করে দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। একটি জেলার সঙ্গে আরেকটি জেলারও সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে যে সমস্ত জেলাগুলিতে এখনও করোনা ছড়ানোর খবর পাওয়া যায়নি, সেখানে ছড়ানোর সুযোগও তৈরি না হয়।
করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রবিবারই লকডাউন ঘোষণা করেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু রবিবারই সেই লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নেমেছিল অনেকেই। তাই বাধ্য হয়েই সোমবার কারফিউ জারি করলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং।
করোনাভাইরাসের ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়া যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভারতেও। কিন্তু এখনও অনেকেই ‘লকডাউন’কে গুরুত্ব সহকারে বিচার করছে না বলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লকডাউন না মানলে এবার অভিযুক্তকে প্রয়োজনে জেলে ভরতে নির্দেশ দিলেন তিনি।
সোমবারই রাজ্যগুলিকে লকডাউন না মানলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশিকা যে মানা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে সব রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজনে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment