করোনা ভাইরাসে শহরে মৃত ১। সংক্রমণে আক্রান্ত ৯। পরিস্থিতি জটিল হতেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও সেই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন মানুষ। এই পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিক বৈঠক রাজ্যের মুখ্যসচিবের। সূত্রের খবর, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে এই বৈঠক।
কনফারেন্সে থাকবেন প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুরসভার কমিশনাররা। এছাড়া অন্যান্য আধিকারিকরা । সোমবার বিকেল ঘড়ির কাঁটায় ঠিক পাঁচটা। লক ডাউন হয়েছে কলকাতা। শুধু কলকাতা নয়, পুর এলাকাগুলিও লক ডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। বিকেল ৫টা থেকে ৩১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত লক-ডাউনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে৷ কলকাতা-সহ রাজ্যের ২৩টি জেলা সদরে এই লক-ডাউন কার্ষকর করা হল বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে৷
অন্যদিকে, কলকাতায় সারপ্রাইজ ভিজিট করতে বেরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। খোঁজ নিচ্ছেন কলকাতার হাসপাতালগুলিরও। কথা বলছেন ডাক্তারদের সঙ্গেও।
এই সময়ে প্রকাশ্যে ৭ জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না। জ্যে রাজ্যে লক ডাউনের ঘোষণা হলেও অনেকেই তা মানছেন না। বরং এই পরিস্থিতিতে অনেককেই রাস্তায়, চায়ের দোকানে, পাড়ার মোড়ে আড্ডার মেজাজে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। রীতিমত আয়েশ করে ছুটির শহরের সুযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আড্ডার সেই ছবি পোস্ট করতেও দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
কড়া ভাষায় টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেউ যে লক ডাউন মানছেন না তাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে লকডাউন নিয়ে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই নির্দেশে বলা হয়েছে লকডাউন না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন ব্যক্তি লকডাউন না মানলে তার ছয় মাসের জেল হতে পারে। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় এই মর্মে রাজ্যের তরফে ঘোষণা শুরু হয়েছে. কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে ঘোষণা চলছে। নাগরিকদের লকডাউন মেনে চলতে বলা হচ্ছে। লকডাউন না মানলে ৬ মাসের জেল সঙ্গে ১০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। এদিকে লকডাউনকে উপেক্ষা করায় কলকাতা পুলিশ ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা শূন্য।
Be the first to comment