এসেছে ১০০০ কিট, সোমবার থেকে ট্রপিক্যালে শুরু করোনা টেস্ট

Spread the love

এই দুঃসময়ে সুখবরই বলা যায়। করোনা পরীক্ষা করার জন্য রাজ্যে এসে গিয়েছে আরও ১০০০ কিট। আর তা দিয়েই আপাতত কলকাতার স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে হবে করোনা টেস্ট। আগামী সোমবার থেকেই শুরু হবে সেই প্রক্রিয়া। ইতোমধ্যেই ‘ডেমো টেস্ট’ হিসেবে নমুনা পাঠানো হয়েছে পুনেতে।

যদিও, করোনা পরীক্ষার জন্য কিট এলেও নমুনা পরীক্ষার জন্য যে কিট রয়েছে, তার চূড়ান্ত আকাল। এই মুহূর্তে নমুনা সংগ্রহের কিট রয়েছে মাত্র ১৫০টি। সেই কিট সরবরাহ করে মুম্বইয়ের একটি সংস্থা। তাঁরা জানিয়েছে, আপাতত কিট পাঠানো মুশকিল। পরিবহণ পরিকাঠামোর বিপর্যয়ের জন্য এখনই কিট পাঠানো সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অসুবিধা কেটে গেলেই পাঠানো হবে কিট।

পৃথক করোনা-হাসপাতাল তৈরির চিন্তাভাবনা আগেই শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে প্রথমে পৃথক করোনা ওয়ার্ডের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, পরে গোটা মেডিক্যাল কলেজেই করোনা চিকিৎসায় হবে বলে জানানো হয়। থাকবে ৩০০০ বেড। সেই অনুযায়ী অন্যান্য রোগীদেরও সরিয়ে দেওয়া হয় অন্যত্র। দেশের প্রথম করোনা হাসপাতাল হিসেবে নাম উঠে আসে মেডিক্যাল কলেজের। কিন্তু পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করেই এবার নিউ টাউনে আরও একটি পুরোদস্তর করোনা হাসপাতাল চালু করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

রাজারহাটের চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটকেই করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে এবার থেকে। করোনা মোকাবিলায় দেশের সব রাজ্য সরকারকেই হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারতে করোনা হানা দেওয়ার পর থেকে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারানটিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনে থাকা রাজারহাটের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে। এবার সেই কোয়ারানটিন সেন্টারকেই হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই ৩০ জন নার্স, ২জন টেকনিশিয়ান, চিকিৎসক, দু’জন ডেপুটি নার্সিং সুপার, একজন নার্সিং সুপার-সহ প্রায় ৫০ জন কর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। ওই হাসপাতালে থাকছে ৫০০টি বেড।

অপরদিকে, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেও বেড সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৮০। সেখানে ১০০টি বেড করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকার সূত্রে আরও খবর, কলকাতার ৩১টি হোটেলকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তি নিজে যদি কোয়ারানটিনে থাকতে চান, তাহলে নিজের অর্থে সেখানে থাকতে পারবেন। তবে, মানতে হবে সমস্ত সরকারি নির্দেশিকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*