রাজ্যের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ সৎকার করতে গিয়েও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো প্রশাসনকে। নিয়ম অনুযায়ী এই রোগে মৃতদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় না। প্রশাসনই উদ্যোগ নিয়ে দেহ সৎকার করে।
প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় কালিম্পঙের বাসিন্দা ওই মহিলার। সোমবার তাঁর দেহ সৎকারের উদ্যোগ নিতেই সমস্যা তৈরি হয়। প্রথমে প্রশাসনের তরফে শিলিগুড়ির কিরণচন্দ্র শ্মশানঘাটে দেহ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সেখানে বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে শিলিগুড়ি শহরতলিতে সাহুডাঙির বৈদ্যুতিক চুল্লিতে দেহ দাহ করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। কিন্তু সেখানেও বাসিন্দাদের একাংশ সংক্রমণের আশঙ্কায় দেহ সৎকারে বাধা দেয়। দীর্ঘ সময় পুলিশের সামনে বিক্ষোভ চলে। শেষে অবশ্য ওই চুল্লিতে দেহ দাহ করা হয়।
এছাড়াও গত ২৪ মার্চ দমদমের বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দাহ করা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছিল তুমুল অশান্তি। নিমতলা ঘাটে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হলে বাধা দিয়েছিলেন এলাকার মানুষ। পুলিশ ও পুরসভার কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি সামাল দেন।
সংক্রমণের আশঙ্কায় মৃত মহিলা শিলিগুড়ির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে যে বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই এলাকাকে জীবাণুমুক্ত করে প্রশাসন। অন্যদিকে মহিলার মৃত্যুর পর নিম্নমানের সুরক্ষা কিট নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ। সোমবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সুপারের ঘরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, মাস্ক- গ্লাভস- সুরক্ষা কিট কিছুই নেই।
Be the first to comment