মসজিদের জমায়েতে থাকা ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার থেকেও বেশি ভয় ছড়িয়ে পড়ার। তাই এই ঘটনায় ব্যাপক সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে ওই মসজিদে বহু মানুষের জমায়েত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। আর তার মধ্যেই ছিলেন আক্রান্তরা। ১ থেকে ১৫ মার্চের মধ্যে অন্তত ২০০০ মানুষের সমাগম হয়েছিল সেখানে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরঘোজস্থান থেকে লোক এসেছিল ওই জমায়েতে যোগ দিতে।
দিল্লির নিজামউদ্দিন থেকে ১৭৫ জনের করোনা ভাইরাস টেস্ট করা হয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২০০০ জনকে। এই প্রথম একসঙ্গে একই জায়গায় থাকা এতজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় পরীক্ষা করানো হয়েছে। এবার পরিস্থিতিতে নজরদারি আরও কড়া করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে লকডাউনে সাধারণ মানুষের চলাচলকে মূলত নজরদারিতে রাখতেই ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে গোটা এলাকা। পুলিশ সেখানে টহল দিচ্ছে যাতে কেউ সেখানে ঘুরে বেড়াতে না পারে।
ওই জমায়েতের পরও মার্কাজে থাকছিলেন ১৪০০ লোক। ফলে ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই এই জমায়েতে থাকা এক মৌলানার মৃত্যু হয়েছে কাশ্মীরে।
এই খবর পেয়ে রবিবার রাতেই দিল্লির ওই এলাকায় যায় পুলিশ। মৌলানার বিরুদ্ধে এফআইরের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকাতর।
মার্চের মাঝামাঝি এখানকার বাংলাওয়ালি মসজিদে এক সমাগম হয়। সেখানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের সংক্রমণ নিয়েই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ওই সমাগমে সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসা অতিথিরা ছিলেন। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের সকলকেই দিল্লির ওই ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। মানুষের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment