রাজ্যে কোরোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন । গতকালই হাওড়া জেলা হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু হয় । রাতে SSKM হাসপাতাল থেকে তাঁর লালারসের রিপোর্ট আসার পর জানা যায় তিনি COVID-19 পজ়িটিভ ছিলেন । এরপর আজ সকাল থেকে ফের হাওড়া হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা । তাঁদের বক্তব্য, ৩০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকা সত্ত্বেও জ্বর, সর্দি-কাশি উপসর্গ নিয়ে ভরতি হওয়া ওই মহিলাকে ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল ।
মৃত মহিলার বাড়ি হাওড়ার সালকিয়ায় । চলতি মাসের ৬ তারিখ তিনি তাঁর পরিবারসহ আরও ১৪ জনের সঙ্গে ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিলেন । গিয়েছিলেন আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে । উত্তরবঙ্গে পৌঁছে ডুয়ার্স, কালিম্পং সহ একাধিক জায়গায় বেড়ানোর পর ডাউন দার্জিলিং মেল ধরে কলকাতায় এসে পৌঁছান ১৩ মার্চ । কিন্তু ২৫ মার্চ হঠাৎই জ্বর, কাশিসহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান ওই মহিলা । কিন্তু চিকিৎসায় কাজ না হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যবালা ID হাসপাতালে । সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় জয়সওয়াল হাসপাতাল । এরপর ফের সত্যবালা ID হয়ে তাঁকে ভরতি করা হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ।
২৮ তারিখ হাওড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয় ওই মহিলাকে । সেখানে ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ছিলেন তিনি । গতকাল বিকালে সেখানেই মারা যান । রাতে রিপোর্ট এলে দেখা যায় তিনি কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন ।
এরপরই ওই মহিলাকে সাধারণ মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । এনিয়ে গতকালই নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কাঠগড়ায় তুলেছিলেন হাসপাতাল সুপার নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়কে । তাঁদের অভিযোগ ছিল হাসপাতলে ৩০ বেডের আইসোলেশন থাকা সত্ত্বেও কোনও সন্দেহজনক রোগীদের ভরতি করা হচ্ছে না সেখানে ।
এ বিষয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন তোলেনি ।
Be the first to comment