১৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে ডুয়ার্স বেড়াতে গিয়েছিলেন হাওড়ার করোনা আক্রান্ত ওই মহিলা

Spread the love

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও একজনের মৃত্যু। মধ্যবয়স্কা ওই মহিলা গত রবিবার থেকে ভর্তি ছিলেন হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ফাইনাল রিপোর্ট এখনও আসেনি। যদিও এসএসকেএম সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওনার রিপোর্ট পজিটিভ। তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেনে ফিরেছিলেন। তবে ওনার কোনও ইন্টারন্যাশনাল ট্র‍্যাভেল হিস্ট্রি ছিল না। গত কয়েকদিন জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

সূত্রের খবর, মৃত মহিলা উত্তর হাওড়ার বাসিন্দা। তিনি স্বপরিবারে ডুয়ার্স বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল আরও তিনটি পরিবার। সব মিলিয়ে পনেরো জনের একটা দল ডুয়ার্স থেকে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফেরার পর থেকেই কাশি, শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। প্রথমে সত্যবালা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রবিবার আনা হয় হাওড়া হাসপাতালে। তবে, এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই খবর জানানো হয়নি।

সূত্রের খবর, গত ৬ তারিখ হাওড়ার সালকিয়া থেকে তিনটি পরিবার এবং দমদম এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেটের বাসিন্দা একটি পরিবার সহ মোট চারটি পরিবারের ১৪ জন সদস্য মিলে ডুয়ার্স বেড়াতে যায়। এই ১৪ জনের দলে মধ্যে দুজন শিশুও ছিল। শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে এরা উঠেছিলেন। এরপর মালবাজার জংশন স্টেশনে নামেন। ডুয়ার্স বেড়ানোর পর এরা ১২ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দার্জিলিং মেল ধরেন। এবং পরদিন শিয়ালদহ এসে নামেন। এরা ট্রেনের এস-টু এবং এস-নাইন কোচে ছিলেন।

এরপর বাড়ি ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার হাওড়ার সালকিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার জ্বর,কাশি ও শ্বাসকষ্ট উপসর্গ দেখা যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ওই চিকিৎসক তাকে বেশ কিছু পরীক্ষা করাতে বলেন। এবং শনিবারে তার রিপোর্ট আসার পর তাকে আইডি হাসপাতালে যেতে বলেন।

রবিবার মহিলাকে নিয়ে আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার দুপুরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে মহিলার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যে যে ১৪ জন বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁদের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের এখনও পর্যন্ত কোনও শারীরিক কোনও অসুস্থতার লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*