বেলঘরিয়াতে করোনা আক্রান্তের বিদেশ যাত্রার কোনও ইতিহাস নেই। ভিনরাজ্যেও যাননি তিনি। কিন্তু, কীভাবে তাঁর শরীরে সংক্রমণ হল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত কয়েক মাসে বেলঘরিয়ার বাইরে কোথাও যাননি তিনি। তবে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ডায়ালিসিস চলছিল তাঁর। আর ডায়ালিসিস করতে গিয়ে হাসপাতালেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর বেশ কয়েকদিন পর পরীক্ষা করে জানা যায় তাঁর শরীরে রয়েছে সংক্রমণ।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির শালা সম্প্রতি এসেছিলেন মুম্বই থেকে। তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল কিনা, সেটাই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনকেও খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ২৩ তারিখ থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার সকালেই হাওড়া হাসপাতালে এক মহিলার করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৭। মৃতের সংখ্যা ৩। এদিন সকালে নতুন করে তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জন কলকাতার বাসিন্দা ও একজন মেদিনীপুরের। মধ্যবয়স্কা ওই মহিলা গত রবিবার থেকে ভর্তি ছিলেন হাওড়া জেলা হাসপাতালে। সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ফাইনাল রিপোর্ট এখনও আসেনি। যদিও এসএসকেএম সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওনার রিপোর্ট পজিটিভ। তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেনে ফিরেছিলেন। তবে ওনার কোনও ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাভেল হিস্ট্রি ছিল না। গত কয়েকদিন জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট উপসর্গ নিয়ে তিনি হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
Be the first to comment