রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। মঙ্গলবারই ওই ব্যক্তির করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। গত কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির ভিন দেশে বা ভিনরাজ্যে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। তিনি রথতলা এলাকায় একটি রোল-চাউমিনের দোকান চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। কীভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোনও ক্রেতার কাছ থেকে কোনওভাবে সংক্রমণ ঘটেছে নাকি কোনও হাসপাতাল থেকে এই মারণ রোগের সংক্রমণ ঘটেছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
যদিও খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় ওই ব্যক্তির আত্মীয় সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। বাকিদেরও খোঁজ খবর নিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
ওই ব্যাক্তি কিডনি জনিত একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল। ডায়ালিসিস করাতে যেতেন জেনিথে। ডায়ালিসিস করাতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। হাসপাতাল থেকেও এই রোগের সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৩ মার্চ থেকে তিনি অসুস্থ। সোমবার তাঁর নমুনা পরীক্ষা হয়। মঙ্গলবার রিপোর্ট আসে। তাতে তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। তাঁর পরিবার পরিজনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে।
এনআরএসে ভর্তি থাকা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে আগেই। মঙ্গলবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। অর্থাৎ করোনায় আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে, হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। তাঁর নাম সুরেন্দ্র জৈন। হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অন্যদিকে, শেওড়াফুলির যে বাসিন্দা কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবার তাঁরই দুই আত্মীয়ের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁর ভাই ও ভাইপো, দুজনেই আক্রান্ত হয়েছেন।
বুধবার সকালে তাঁদের শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে আসা হয়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার গভীর রাতেই জানা গিয়েছিল শেওড়াফুলির ওই আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাই ও ভাইপোও কোভিড-১৯ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা স্বীকার করে নেওয়া হল।
Be the first to comment