ফের মৃত্যু হল আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির। টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে নতুন করে। জ্বর-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বাঙুরে ভর্তি থাকা ৫৪ বছরের প্রৌঢ়কে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। হাওড়ায় বাড়ি তাঁর। আজ, বুধবার তাঁর লালারসের নমুনা এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই প্রোঢ়কে নিয়ে বিপদে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ তিনি করোনা পজিটিভ কিনা তা জানা যায়নি। আবার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পরে এই হঠাৎ মৃত্যু ইঙ্গিত করছে সংক্রমণের দিকেই। ফলে দেহ নিয়ে কী করা হবে, তা নিশ্চিত নন তাঁরা। প্রবল ধন্দে পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরও। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অন্ধকারে মৃতের পরিবারও।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির কোনও বিদেশ-যোগ নেই। তবে ১১ মার্চ পুরী থেকে ফিরেছিলেন তিনি। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরে গতকাল আনা হয় এমআর বাঙুর হাসপাতালে। করোনা-উপসর্গ থাকায় তাঁকে পাঠানো হয় আইসোলেশনে। আজ, বুধবারই তাঁর লালারস সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি মারা যাওয়ায় পরিস্থিতি জটিলতর হয়েছে।
কারণ এই মৃত্যুর সৎকার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর গাইডলাইন মেনে হবে কিনা এখনও ঠিক করা যায়নি। পাশাপাশি মৃত্যুর খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মৃতের প্রতিবেশীদের মধ্যেও। মৃতের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে কিনা, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে আইসোলেশনে থাকা বাকি রোগীদের মধ্যেও। একই শৌচালয় ব্যবহার করেছেন তাঁরা।
এমআর বাঙুর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৭ জন। তাঁদের নিয়ম মেনেই রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সুতরাং আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই দাবি তাঁদের।
মঙ্গলবার রাতে এনআরএসের আইসোলেশনে থাকা এক রোগীর মৃত্যুর পরেও এমনই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে মৃত্যুর পরে তাঁর রিপোর্ট আসে, পজ়িটিভ। আজ সকালে ফের খবর আসে, বেলঘরিয়ার করোনা পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরে আজকের বাঙুরের এই মৃত্যু আতঙ্ক বাড়িয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই।
Be the first to comment