নিজামুদ্দিনের ঘটনা ‘তালিবানি অপরাধ’, কড়া ব্যবস্থার দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

Spread the love

দিল্লির নিজামুদ্দিনে ধর্মীয় সমাবেশকে ‘তালিবানী অপরাধ’ আখ্যা দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নখভি। এই ঘটনায় কঠোর হাতে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নখভি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের ৯৯ শতাংশ জনগণ তার পাশে আছে। এমনকী দেশের সংখ্যালঘুরাও সরকারের এই উদ্যোগকে সমর্থন করছে। ফলে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইকে কোনও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখার আবেদন করেছেন তিনি।

করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে যখন চূড়ান্ত স্তরে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে তখন খোদ দেশের রাজধানীর বুকে বিশাল ধর্মীয় জমায়েত করে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার কেন্দ্রে তাবলিঘি জামাত নামে একটি সংগঠন। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে নখভি বলেন, ‘এটি একটি তালিবানি অপরাধ। সমস্ত দেশ যখন একজোট হয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এমন সময়ে এই ধরনের কাজ করা অপরাধ। এই কাজের জন্য শুধু আইনেই নয়, স্বয়ং ঈশ্বরও তাদের ক্ষমা করবে না। এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজকর্মের ফলে বহু মানুষের জীবন আজ বিপদের মধ্যে পড়েছে। এই ঘটনায় প্রশাসন এবং পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে চলতি মাসের শুরুতে দিল্লিতে সমস্ত ধরনের বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করে রাজ্য সরকার। কোনও ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক সমাবেশে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও ধর্মীয় সংগঠন তাবিলঘি জামাতের সদর দফতর দিল্লির নিজামউদ্দিনে গত ১৩ থেকে ১৫ মার্চ এখানে তাবলিঘি জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ হয়। যেখানে সব রকম সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ উড়িয়ে একসঙ্গে বাস করছিলেন কয়েকশো মানুষ।

এমনকি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মায়ানমারের মতো দেশ থেকেও অনেকে অংশ নেন। এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*