রাজ্য সরকারের নির্ধারিত স্থান ধাপায় করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে । কিন্তু সেখানেও মৃতদেহ সৎকারে বাঁধা দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে থমকে আছে সৎকার। এর আগে নিমতলা শ্মশানে সৎকারে বাঁধা দিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধাপায় করোনা আক্রান্তদের মৃতদেহ সৎকার করা হলে, এই এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ঘটনাস্থলে রয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী। পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, হু এর গাইডলাইন মেনে মৃতদেহ সৎকার করা হবে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের কথা মানতে নারাজ। তারা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। বাঁধা দেওয়া হয়েছে সৎকারে।ফলে সৎকার করা যাচ্ছে না বেলঘড়িয়ায় করোনা আক্রান্তে মৃতদেহ। একই ঘটনা ঘটেছিল কিছু দিন আগে নিমতলা শ্মশানে ।
উল্লেখ্য, করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলঘরিয়ায় এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে । মঙ্গলবার বেলঘরিয়ার কামারহাটি রথতলা এলাকার বাসিন্দা পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তির করোনা সংক্রমণ পজিটিভ রিপোর্ট হাতে আসে ডাক্তারদের। কামারহাটি এলাকারই এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগী গত ২৬ শে মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কামারহাটি পুরসভা সংলগ্ন এলাকায় মৃত প্রৌঢ় ও তার স্ত্রী ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কামারহাটির ওই বেসরকারি হাসপাতালে বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রের খবর। মৃত ব্যাক্তির পরিবারে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের ও কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত ব্যক্তির এক কন্যাও শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাঁকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। কিডনির সমস্যায় ভুগলেও ওই বৃদ্ধের শরীরে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই কারণেই তার কোভিড ১৯ পরীক্ষা করেন ওই বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা। পজিটিভ রিপোর্ট আসে মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে। তার মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের ।
Be the first to comment