পূর্ব ঘোষণা মতো ১৫ এপ্রিলই গোটা দেশে লকডাউন উঠে যেতে পারে। কিন্তু তার পরেও যে ইচ্ছামতো রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো যাবে না সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন সকাল ১১ টায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ছবি তাঁর সচিবালয় ও সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বৈঠকে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে তা সরকারি তরফে অবশ্য এখনও বলা হয়নি।
তবে বৈঠকে উপস্থিত অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু টুইট করে জানিয়েছেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠে যাবে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে রাস্তায় ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়ানো যাবে। আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভাবে ধীরে চলতে হবে (স্লো ডাউন)। কারণ, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লকডাউন এবং সোশাল ডিস্টেন্সিংই একমাত্র পথ।”
যদিও কিছুক্ষণ পরেই এই টুইট ডিলিট করে দেন তিনি। সূত্রের খবর, মনে করা হচ্ছে, ২১ দিনের পরে লকডাউন শিথিল করলেও, দেশের কয়েকটি ‘হটস্পট’কে চিহ্নিত করে সেখানে নিরাময়ে জোর বাড়ানো হবে। যে সব এলাকায় সংক্রমণ বেশি ছড়িয়েছে বা প্রবণতা রয়েছে সেগুলিকেই হটস্পট বলা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই যেমন নিজামুদ্দিনের সমাবেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেখান থেকে যাঁরা যেখানে গেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের খোঁজ নিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার কাজ শুরু হয়েছে। লকডাউনের পরে এটাই আরও খুঁটিয়ে করা হবে।
যে সব এলাকায় সংক্রামিতের সংখ্যা বেশি, সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি বেশি, সে সব এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে বাইরে থেকে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত রাখা হবে। যেখানে যেখানে করোনার প্রকোপ প্রায় নেই, খানিকটা করে বেরোনোর ছাড় মিলতে পারে সেসব জায়গায়।
তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যতক্ষণ না পরবর্তী কোনও নির্দেশ আসছে ততক্ষণ বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই। তাছাড়া চিকিৎসকরাও বলছেন, লক ডাউন শিথিল হলেও হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সোশাল ডিস্টেন্সিং অব্যাহত রাখা আরও কিছুদিন অন্তত জরুরি।
Be the first to comment